নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্কুলছাত্র নয়ন মিয়া (১২) হত্যাকান্ডে এজাহারভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১০নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কেন্দুয়া থানা পুলিশ আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি দল গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার রামপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্র নয়ন মিয়া হত্যা মামলার দুই ও তিন নম্বর আসামী যথাক্রমে আবু রায়হান (২২) এবং আসাদুল হক (২৪)কে গ্রেফতার করেন। আবু রায়হান নিহত নয়ন মিয়ার পানগাঁও গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এবং আসাদুল হকও একই গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।
পরে র্যাব সদস্যরা ওই দিন রাতেই দুই আসামীকে কেন্দুয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী দুই আসামীকে নয়ন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠান। মামলার অপর দুই আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি।তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।
উল্লেখ্য,গত রোববার (৬নভেম্বর) রাতে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামের অটোরিক্সা চালক আবদুল ওয়াদুদের একমাত্র ছেলে পানগাঁও পনকেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নয়ন মিয়াকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সোমবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চার জনের নামোল্লেখসহ আরও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বাদী সূত্রে জানাযায়, প্রায় ছয় বছর আগে পানগাঁও গ্রামে রহিমা নামে এক নারী হত্যাকান্ডের শিকার হন। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্কুলছাত্র নয়ন মিয়াকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত নয়নের বাবা আবদুল ওয়াদুদ জানান, আমার কলিজার টুকরা একমাত্র ছেলেকে যারা নির্মমভাবে খুন করেছে আমি তাদের সবার ফাঁসি চাই।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাক্ষাৎ