ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভূয়া দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম দিয়ে দিঘীরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডি অনুমোদন দিয়েছে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন জনৈক ছাত্র অভিভাবক ও সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ আঃ ওয়াহাব মিয়া।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, শ্রীবরর্দীর আলিম মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হালিম( জামাতের নেতা)বিদ্যুৎসাহী সদস্য হয়ে অএ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে স্বড়যন্ত্র করে আসছেন। দিঘীরপাড় গ্রামে ১৯৫৫ সালে অত্র মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন এলাকাবাসী। এবার গভর্নিং বডির নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী ৮০দিন পুর্বে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কথা থাকলেও এখানে কোন ভোটার তালিকা তৈরী করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে ৬ লক্ষ টাকা বা সমপরিমাণ সম্পদ এককালীন দান করার বিধান থাকলেও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ বাকি বিল্লাহ মাদ্রাসা কোষাগারে এক টাকাও জমা দেননি। সম্পদ বা টাকা জমা না দিয়েই তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে দাতা সদস্য হতে গভর্নিং বডির মেয়াদ উর্তীণের ১৮০ দিন পুর্বে মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবে নগদ অথবা চেকের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা জমা করলে তিনি একবারের জন্য দাতা সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু এ মাদ্রাসায় উল্লেখিত পরিমাণ টাকা জমা না করেও মোঃ হামিদুর রহমান (জামাতে ইসলামী ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সাবেক আমীর) দাতা সদস্য হয়েছেন।
এমনকি তাকে ভূয়া দাতা সদস্য বানিয়েও ক্ষান্ত হননি উপর্যুপরি তাকে অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে।মামলা সূত্র থেকে জানাগেছে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ বাকি বিল্লাহর জন্ম ১৯৬৩ সালে। তার বাবা মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেছেন। ওয়ারিশান সূত্রে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।এ ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ আঃ ওয়াহাব বলেন,আমি ছাত্র অভিভাবক।কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্র অভিভাবককে নোটিশ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও আমাকে কোন নোটিশ করা হয়নি।ভূয়া দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে ওই মাদ্রাসার গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে।
দিঘীরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম বলেন,আদালতে মামলার নোটিশ পেয়েছি।অফিসে সংরক্ষিত কাগজ পত্র তল্লাশী করে দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের কোন টাকা বা সম্পদ মাদ্রাসা ফান্ডে জমা দেওয়ার কোন প্রমান খুঁজে পাইনি।তারা কিভাবে দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছেন তা আমার পুর্বে যিনি দায়িত্ব ছিলেন তিনি ভালো বলতে পারবেন।দাতা সদস্য মোঃ হামিদুর রহমান জানান তিনি যথারীতি ২০০৮ সালে জনতা ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। ঐ সময় থেকে আমি দাতা সদস্য হিসেবে রয়েছি।মামলার জবাব আমি কোর্টে দিব।
আরও পড়ুন: ঝিনাইগাতীতে সুইচ গেইট উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী মহলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন