জমে উঠেছে নেত্রকোণার কেন্দুয়া ও মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ দ্বিতীয় ধাপে নেত্রকোণার দুই পৌর সভায় জমে উঠেছে নির্বাচন। একটিতে হবে ইভিএম এ আরেকটিতে হবে ব্যালটে। তবে দুই পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন ভোটারা। ভেলটে ভোট ডাকাতির আশঙ্খা ভোটারদের। প্রর্থীরা একে অপরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুড়ছেন । যদিও নির্বাচন কমিশন সুষ্ট নির্বাচন উপহার দিতে অটুট। আচরণবিধি লঙ্গনের কথা স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শীতের ভোর থেকে শুরু করে মাঝরাত পর্যন্ত ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই পৌর সভার প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে প্রতিশ্রুতির ফুলছুড়ি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। মিটিং-মিছিল উঠোন বৈঠক আর মাইকের শব্দে কান যেন ঝালাপালা এ দুই পৌরবাসীর।
প্রচার প্রচারনায় বাধাসহ ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর। তবে ইভিএম নিয়ে কোন শংসয় নেই সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর। ভোটারদের ইভিএম ভোট প্রদানের বিয়য়ে জানানো আর ভোট চাইতে পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারন কাউন্সিলররা। কেন্দুয়া পৌরসভার বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী, মো: শফিকুল ইসলাম শফিক, বলেন আমি আওয়ামী লোকজন দ্বারা খুবই নির্যতিত। মনোনয়ন নপত্র দাখিল করার দিন যুবলীগ সন্ত্রাসীরা আমার মনোনয়ন পত্র চিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। আমি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারি। আমার প্রচার প্রচারণার পোষ্টার ও ছিড়ে ফেলা হচ্ছে।
কেন্দুযা পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী, মো: আসাদুল হক ভূইয়া বলেন, আমি মেয়র থাকা সময় পৌর নাগরিকদের সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে এসেছি অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করার জন্যই পৌরবাসী আমাকে বোট দিয়ে এবারও নির্বাচিত করবে। আমার কোন কোন লোক বা সমর্থক বি এন পির প্রচারে কখনোই বাধা প্রদান করেনি আর করবেওনা।
সীল ও ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে । ্ঋণ খেলাপীর প্রমানিত হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপি প্রার্থী। তবে ভোট যুদ্ধে জয়ের আশায় মাঠে আছে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিস্তর অভিযোগের তীর আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে । অভিযোগ ভিত্তিহীন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুন:রায় ভোটারা ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবে বলে দাবী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর।
মোহনগঞ্জ পৌরসভার স্বতন্ত্র, মেয়র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীক তাহমীনা পারভীন বিথী বলেন, আমার প্রচার প্রচারণায় সব সময় বাধার মন্মোখিন। আমার কর্মীদেরকে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে যেন আমার সাথে ভোট চাইতে না যায়। এ ব্যাপাওে আমি রির্টানিং কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
মোহগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী, এড, লতিফুর রহমান রতন বলেন, আমি গত তিন বারের মেয়র জনগণ আমাকে ভালবাসে তাই আমাকে নির্বাচিত কওে এ বারও করবে। সতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে কোন সত্যতা নেই।
মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় আর প্রতিশ্রোতিতে থেমে নেই নারী ও পুরুষ কাউন্সিলররা।
কেন্দুয়া পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী সুমি বলেন, জন সাধারণের ভালবাসায় আমি নতুন কাউন্সিলর প্রার্থী। আমি জয়যোক্ত হলে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে আমি তাদেও পাশে থাকব।
কাউন্সিলর শিল্পি আক্তার বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই জনসেবা করে আসছি এবার ভোটের মাধ্যমে নির্বচিত হতে পারলে অবহেলিত মানুয়ের চাওয়া আমি পরিষদে উপস্থাপন করতে পারব। তাদেও অধিকার নিয়ে লড়তে পারব। কাউন্সিলর আনিছুর রহমান রতন বলেন, আমি আগেও কাউন্সিলর ছিলাম। আমি আমার এলাকার যথাযথ উন্নয়ন করেছি। এবারও যদি নির্বাচিত হতে পারি তবে মাদক,জোয়া নির্মূল করব। আর ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে নানা সংশয় সাধারন ভোটারদের মাঝে।
মোহনগঞ্জ পৌর সভার বাসিন্দা আহম্মদ আলী বলেন, সব জায়গাতেই ইভিএম পদ্বতিতে নির্বাচন হবে শুশূ আমাদেও এলাকাকেই ভেলটে নির্বাচন হবে। তাই আমরা খুবই দুচিন্তায়। ভোট চুরি হবে,আগেই ভোট কেটে ফেলবে, আমার ভোট আমি দিতে পারব কি না তা নিয়ে আমরা শঙ্খায় আছি। ,নেত্রকোণা জেলা রির্টানিং ও নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ, বলেন, দ্বিতীয়ধাপে নেত্রকোণার কেন্দুয়া ও মোহগঞ্জ পৌরসভায় উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। তবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গণের অভিযোগ পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
কেন্দুয়ায় ১০ দশমিক ৬৪ বর্গ কিলোমিটার ও মোহনগঞ্জে ৬ দশমিক ৯৪ বর্গ কিলোমিটার পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ১১০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দুয়ায় মেয়র ২, কাউন্সিলর ৩৯, সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন প্রার্থী আর মোহনগঞ্জে মেয়র ৩, কাউন্সিলর ৩৯ , সংরক্ষিত আসনে ১৪ জন । আগামী ১৬ জাানুয়ারী কেন্দুয়ার ৯ ওয়ার্ডের ১৬ হাজার ২ শ’ ৫৬ জন ও মোহগঞ্জের ৯ ওয়ার্ডে ২১ হাজার ৪ শত ৪ জন ভোটার তাদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরো পড়ুন: টঙ্গীবাড়ীতে বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত