টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সলিমাবাদ মধ্য পাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাকিব মিয়ার পোলট্রি ফার্ম বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে পুরে ছাই হয়েছে। এ সময় পোলট্রি ফার্মে প্রায় ১৫ শত মুরগী, দেড়টন খাবার ও ফার্মে আনুষাঙ্গিক সব কিছু মিলে আট লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বিকেল ৫ ঘটিকার সময় মর্মান্তিক এ দূঘর্টনা ঘটে। এ সময় আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে শত শত মানুষ আগুন নেভাতে ছুটে আসলেও পাট শোলার সিলিং থাকায় তা দ্রুত পুড়ে যায় । ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর আগেই সব পুড়ে ছাই ।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাকিব মিয়া জানান, তিল তিল করে গড়া এ পোলট্রি ফার্মটি পুড়ে যাওয়ায় আমি এখন নিঃস্ব। আমার যা কিছু ছিলো সবই আগুনে পুড়ে গেল। আমি সহ আরো তিনজন একই পরিবারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
আমাদের সন্তান সহ আমরা কিভাবে বাঁচবো। আমি এখন দিশেহারা। শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মত দয়ালু। জানি না আমার এ হাহাকার তাঁর পর্যন্ত পৌঁছবে কিনা। তবে তাঁর সহায়তা পেলে নিশ্চয়ই আবার আমরা চারটে ডালভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো।
এ বিষয়ে ইউপি মহিলা সদস্য রোজী বেগম বলেন, রাকিব মিয়ারা একই পরিবারের চারজন প্রতিবন্ধী। তাদের শেষ স¤\^ল এই পোলট্রি ফার্মটি। এখন তারা ভীষণ অসহায়। সরকার ও সমাজের বৃত্তবানদের নিকট আকুল আবেদন তাদের কে সহযোগিতা করুন। তাদের পাশে দাঁড়ান।
নাগরপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিলি ডিফেন্স স্টেশন লিডার মোঃ শামসুল আলম জানান, আমরা ঘটনা স্থলে পৌছানোর পূর্বেই স্থানীয় জনতা আগুন নিভিয়ে ফেলে।বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত । তবে ঘরের সিলিং পাটশোলার তৈরী হওয়ায় দ্রæত আগুন লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুন: বিএনপি সরকার ড্রাইভারদের কল্যাণে কোন কাজ করেনি -তথ্যমন্ত্রী