দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীগণ হয়ে উঠছে বই বিমুখ। সিংহভাগ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটে নানান সাইটে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা সহজলভ্য হলেও এর চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছে বিভিন্ন গেমিং ও অন্যান্য সাইটে।বন্ধু বান্ধব একত্রিত হলেই বিভিন্ন রকম গেমিং নামে জুয়ায় মেতে ওঠছে অলস সময় কাটানো শিক্ষার্থীরা।
তাদের এই আসক্তি পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলেও অনেক সুধিজন মনে করেন।
এদিকে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়মিত থাকায় জীবন যাপনে তেমন কোন কষ্টের প্রভাব পড়েনি। অপরদিকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবস্থা সোচনীয়।
প্রাইভেট শিক্ষক নামের নিম্ন অায়ের মানুষদের পকেটে টাকা না থাকলেও সম্মান নামক সাইনবোর্ড টা অনেক বড় হওয়ায় তারা পেটে ক্ষুধায়ও সুখের হাসি হেসে চলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষক জানান – হাট বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোট কাচারী, পিকনিক স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, সোপিং মল সব কিছু স্বাভাবিক হলেও মেধা বিকাশের কারীগরদের কেনো এই চাপ?
কেনো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধাকে আটকে রাখা হয়েছে? পেটে পাথর বেঁধে আর কতোদিন? জমানো অর্থ যা কিছু ছিলো সেও শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
কোন কোন শিক্ষকে পেশা পরিবর্তন করে দিন মজুরী বা ইট ভাটার শ্রমিকের কাজও করতে দেখা গেছে।
মনি ও জুয়েল নামের এক প্রাইভেট স্কুল পরিচালক জানান গ্রামের বাড়িতে জমি বন্দক দিয়ে স্কুলের ঘর ভাড়া দিয়েছি।
আরও পড়ুনঃ রাস্তার মাইলফল স্কুলের দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড