নাসিমা আক্তার মিনা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রাম্য এলাকা থেকে একজন নারীকে রাজনীতির মাঠে আনা খুবই কঠিন কাজ। তবে যারা দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সমাজের কল্যাণে রাজনীতির মাঠে কাজ করেন, তাদেরকে কোন অবজ্ঞা বা লাঞ্চনা না করে মর্যাদা দিতে হবে। বসাতে হবে সম্মান জনক আসনে। নতুবা সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।
কেন্দুয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসিমা আক্তার মিনা একথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বিগত দিনে উপজেলা সদরে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে এসে প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের উশৃংখল নেতাকর্মীদের হামলার ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছি।
এটি আমার মনের মধ্যে বিরাট কষ্ট দিয়েছে। আমি এ লাঞ্চনার কথা কোনদিন ভুলতে পারবোনা। চিরদিন হৃদয়ে কালো দাগ হিসেবে গেঁথে থাকবে। আমার সেই কষ্টের বিষয় থেকেই বলছি, আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি, লাঞ্চিত হয়েছি আর কোন নারীকে যাতে এরকম লাঞ্চনার শিকার না হতে হয় সেইজন্যই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার অভিজ্ঞতার ফসল শেয়ার করছি।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ প্রতিনিধির সাথে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। নাসিমা আক্তার মিনা বলেন, বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা,মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
বাড়িতে শান্তিতে খেতে ঘুমতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। এ যন্ত্রনা সহ্য করার পরও ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আমার বেখৈরহাটি বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের কোন দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করতে দেইনি। কারণ বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগের করানো মেনে নেওয়া হবেনা: ইউএনও