কেন্দুয়ায় চার সন্তানের জননীর আত্মহত্যা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আলপিনা বেগম মুলেকা (৩০) নামে ৪ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। আলপিনা উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের রিক্সাচালক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
তার প্রথম সন্তান ১১ বছরের কন্যা এবং সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে সন্তানটির বয়স মাত্র ৩৯ দিন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন।
স্বজনরা জানান, দারিদ্রতার জন্য আলপিনা এক সময় গার্মেন্টসে চাকরি করতো,পরে বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী শফিকুল ইসলাম বাড়িতে থেকে রিক্সা চালায়। দারিদ্রতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ ছিল। দুই বার বাবার বাড়িতে আটকও ছিলেন আলপিনা। সালিশ দরবার করে স্বমীর বাড়ি আনা হয়েছিল।
পারিবারিক কলহের কারণে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাথরুমে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আলপিনা। পরে থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, দারিদ্রতার কারণে প্রায় সময়ই স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতো। আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর একদিন আগে সোমবার একই গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে রেজুয়ান মিয়া (২১) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ছিলেন এবং গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামের ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী রংপেন্সিলের জন্য অভিমান করে আত্মহত্যা করেছিল। উপজেলায় এক সপ্তাহে তিনজনের আত্মহত্যার বিষয়টি বেশ আলোচনায় এসেছে।
আরও পড়ুনঃ মহাষ্টমীতে ফুলবাড়ী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা
রাখাল বিশ্বাস