জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেলসহ গ্রেফতার-১৫
জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ও সশস্ত্র গ্রুপের সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল ও তার ১৪ জন সহযোগীকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯, সিলেট ও র্যাব-২, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের মাদক স¤্রাট সোহেল@ বুনিয়া সোহেল দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পটিতে গ্যাং কালচার চালু করেছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘চুয়া সেলিম’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ দুই গ্রুপেরর মধ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা লুট করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে দুই পক্ষই।
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সংঘাতে এসব অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে ও গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে সংঘাতে জড়ানো দুই পক্ষকেই। গোলাগুলিতে দুই মাসে নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। আহত হয়েছেন এক’শর বেশি মানুষ। মাদক স¤্রাট সোহেল@ বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে ১৮টি মামলা রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট ও র্যাব-২, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর যৌথ অভিযানে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৫:৩০ ঘটিকায় এসএমপি সিলেট কোতয়ালী থানাধীন দাড়িয়াপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিলেটে আত্মগোপনে থাকা মাদক স¤্রাট সোহেলা @বুনিয়া সোহেলসহ আরো ০৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা ১। সোহেল@ বুনিয়া সোহেল (৩০), পিতা-আব্দুস সালাম, ২। আমির হাসান হিরা (৩৬), পিতা-সাব্বির হোসেন, ৩। আনোয়ার হোসেন (২৭), পিতা-সেলিম হোসেন, ৪। জামাল হোসেন (২৯), পিতা-মৃত মুসলিম, ৫। মোছাঃ শাহিনুর (৩২), স্বামী-সোহেল রানা, সর্ব সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ডিএমপি, ঢাকা।
এছাড়াও র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৪:০০ ঘটিকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন সাইহাম ফিউচার কমপ্লেক্স এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অভিযান পরিচালনা করে ০৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা ১। নুরী বেগম (৩০), পিতা-মৃতঃ ইলিয়াস, ২। মিঠুন (২৪), পিতা-মৃতঃ ইলিয়াস ৩। সাহিল (৩৮), পিতা-মৃতঃ লোকমান, ৪। নাঈম (২৪), পিতা-নাদিম, ৫। মোঃ আজিম (৩৭), পিতা-মোঃ নাসিম ৬। বানু বেগম (৫০), পিতা-সোলায়মান ৭। সাবিক হাসান (২০), পিতা-মৃতঃ আকবর আলী সর্ব সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ডিএমপি, ঢাকা।
উপরিউক্ত ঘটনার সূত্র ধরে পরবর্তীতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল অদ্য ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধা ১৭:৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ১। আমিন (২৮), পিতা-নাসিম, ২। ইকবাল (৩৮), পিতা-মৃত ইদ্রিস, ৩। আসিফ মিয়া (৩৭), পিতা-মোঃ পলু কসাই, সর্ব সাং-জেনেভা ক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ডিএমপি, ঢাকা।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের লক্ষ্যে র্যাব-২, মোহাম্মদ, ঢাকা এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত মামলার অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ এডভোকেট এ কে এম শাহ্ নেওয়াজ ফকির এঁর প্রয়াণে নেত্রকোনায় নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত
র্যাব-৯/সিলেট