শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ২০ আগস্ট ২০২৩

ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা

ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেড়েই চলেছে কাঁচাবাজারসহ ডিমের দাম। সবজিভেদে প্রতিটির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে স্থানভেদে একহালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা বলছেন, বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটের হাতে। যার কারণে একেক সময়ে একেক পণ্যের দাম রাতারাতি বেড়ে যায়। রবিবার (২০ আগস্ট) ফুলবাড়ী পৌর কাঁচা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৬-৪৮ টাকা। দেশি মুরগির এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। এদিকে বেড়েই চলেছে কাঁচাসবজির দামও। সবজিভেদে প্রতিটির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা জানিয়েছেন বাজারে সবজি দাম আরোও বাড়তে পারে।

বাজারে শুকনা মরিচ (কারেন্ট) ৫৫০ টাকা, শুকনা মরিচ (বিন্দু) ৪৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি রসুন ২৬০-২৭০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি।

এছাড়া প্রতিকেজি রসুন ২৬০ টাকা,  আলু সাদা ৪৫ টাকা, আলু টিপিএস ৪০ টাকা, আলু কাঠিনাল ৩৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ও চাল কুমড়া আকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অথচ গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি এর দাম ছিল আদা ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ এলসি ৩০ টাকা, রসুন ২৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, আলু সাদা ৪৫ টাকা, আলু টিপিএস ৪০ টাকা, আলু কাঠিনাল ৩০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা, শুকনা মরিচ (কারেন্ট) ৫০০ টাকা, শুকনা মরিচ (বিন্দু) ৪০০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায়।

আরো দেখা যায়, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ২০ টাকা। প্রায় সবধরণের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৮০-৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০-৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌরবাজারে এক ব্যবসায়ী বলেন সবজির দাম আরো বাড়বে। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছুদিন পূর্বে খরায় বহু সবজি নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে কোথাও কোথাও বন্যায় সবজি নষ্ট হচ্ছে। ফলে, সরবরাহ কমে যাচ্ছে। আর তাই বাড়তে পারে সবজির দাম।

তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন কাঁটাবাড়ী গ্রামের রাকিব হাসান ও হাবিবুল ইসলাম। তারা বলেন, ভেবেছিলাম জিনিসপত্রের দাম কমবে। এখন দেখছি উল্টা। আসলে বাজারের ওপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার ব্যবস্থা সিন্ডিকেটের হাতে। সকালে যে জিনিসের দাম একরকম থাকে, সন্ধ্যায় বা পরদিন সকালেই সেটির দাম বেড়ে যায়। এটা কোনোভাবেই ন্যায্য হতে পারে না।

কলেজ শিক্ষার্থী মোছা. অনন্যা মেহতাবিন ও মৌমিতা রানী বলেন, আমরা স্থানীয় কলেজে লেখাপড়া করি। আমরাদের বাড়ি গ্রামে। ম্যাচে থেকে পড়ালেখা করছি তাই প্রতিসপ্তাহে আমাদের ওপর খরচের দায়িত্ব পড়ে। কিন্তু বাজারে এসে সবজির দাম শুনে অবাক হচ্ছি। ম্যাচ থেকে যে টাকা দিয়ে যে যে সবজি কিনতে বলা হয়েছে। দামের কারণে কোনোভাবেই সেগুলো ক্রয় করতে পারছি না আমরা। ফলে ম্যাচে গিয়ে কি ভাবে তাদের বোঝাবো সে দুঃশ্চিন্তা কাজ করছে।

খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. রানা. হারুন উর রশিদ ও মো. সাজ্জাদ বলেন, আমরা পাইকার বাজার থেকে যে দামের পণ্য ক্রয় করি, সে দামের চেয়ে ৫/১০ টাকা বেশি লাভে বিক্রি করে থাকি। পাইকার বাজারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই ক্রয়করা মূল্যের চেয়ে খুচরা বাজারেও সামান্য লাভ রেখে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে।

পাইকার সবজি বিক্রেতা রেজাউল আলম, অজয় রায় এবং জয়ন্ত মহন্ত বলেন, আমদানি কম হচ্ছে তাই সবপ্রকার সবজির দামই বেশি। আমদানি বাড়লে দাম কমবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বাজার মনিটরিং নিয়মিত করা হচ্ছে। যদি কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ধর্মপাশায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলো এক শিক্ষক

সম্পর্কিত বিষয়:

ব্রেকিং নিউজ:

কানাইঘাটের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার
সিলেটে পংকজ কুমার হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গ্রেফতার
নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা আটক
হবিগঞ্জে ৬৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামী আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র হত্যা মামলায় ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিস্ফোরক উদ্ধার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আফতাব আলী গ্রেফতার
হবিগঞ্জে আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
কেন্দুয়ায় ১০ বছর ধরে বাড়িছাড়া পাঁচ পরিবার
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা তৌফিক বক্স গ্রেফতার

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 851