মোহনগঞ্জে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকেই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা রংবেরংয়ের ফেস্টুন, ব্যানারসহ ঢাকঢোল বাজিয়ে পৃথক মিছিলে পৌরশহর মুখরিত করে তোলে।
পরে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌরশহরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মাঠে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গিয়ে মিলিত হন।
বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সেলিম কার্নায়েন।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, মো. তোফাজ্জল হোসেন জীবন।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও পৌর যুবদলের আহবায়ক মো.জহিরুজ্জামান খান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ খ ম শফিকুল হক, পৌর বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক মাসুম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব টিপু সুলতান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম রব্বানী পুতুল, উপজেলা যুু্বদলের সাবেক সভাপতি গোলাম এরশাদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য শাহ সোলেমান তালুকদার, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আশাদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ্আলম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক নাজমুছ সাদি চৌধুরী অপু, সদস্য সচিব কিরন খাঁ প্রমুখ।
সভায় বিগত আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে সরকার গঠন করে প্রায় সাড়ে ১৬ বছর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এমনকি দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতাকেও হরণ করেছে। লুট করে বিদেশে পাচার করেছে দেশের হাজার-হাজার কোটি টাকা। ধ্বংস করে গেছে দেশের শাসন ব্যবস্থাকেও। তাদের মূল এজেন্ডাই ছিল বাকশালী কায়দায় বিএনপিকে দেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিন্ন করা। সারাদেশে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। সারাদেশে গায়েবি মামলায় আমাদের হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে বছরের পর বছর জেল খাটতে হয়েছে।
যুবদল নেতারা আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নের কারণে আমরা প্রকাশ্যে দলীয় কোনো কর্মসূচি পালন করবো দূরের কথা, ৫-১০ জন নেতাকর্মীকে এক সঙ্গে কোনো একটি ঘরে বসে আলোচনা করতেও দেয়নি তারা। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পাপের পাল্লা এতই ভারী হয়েছিল যে, অবশেষে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে তাদেরকে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুরে সামগ্রিক উন্নয়নে সেবা অব্যাহত থাকবে: ইউএনও