ড. এম,এ, ওয়াজেদ মিয়া অটিজম (প্রতিবন্ধী) স্কুল
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বন বিভাগের বিট অফিসার আবুল কালাম শামসুদ্দীনের নেতৃত্বে বনকর্মীরা এক সাথে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করে।
ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া অটিজম প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এবিষয়ে জানতে চাইলে এক পর্যায়ে আবুল কালাম শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষকদের ওপর এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করেন।এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে উত্তেজিত হয়ে রাবার বুলেট ছুরে মারেন বলে জানাযায়।
এই হামলায় আহতরা হলেন, ১,মোঃ রাশেদ মিয়ার ছেলে সোহেল (১৩) ২,মোঃ আতিকুল ইসলামের প্রতিবন্ধী মেয়ে আকলিমা (১৬) ৩.মোঃ ইদ্রিস আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম (৪৮) ৪, মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান (৫০) ৫, প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ সুমি করিম সহ আরও অনেকেই ঘটনাস্থলে রাবার বুলেটের আঘাতে জখমপ্রাপ্ত হয়।
এই বিষয়ে ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া অটিজম প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সুমি করিম জানায়, স্বামী মোঃ নাজমুল করিম বিগত দীর্ঘদিন যাবৎ ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া অটিজম(প্রতিবন্ধী) স্কুলটি নিজ অর্থায়নে ২০১৮ সাল থেকে পরিচালনা করে আসছে। এই স্কুলটি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সংকটে পরে এবং শত কষ্টে প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সুবিধার্থে তাহার ক্রয়কৃত জমি ইউঃপি-মির্জাপুর অধীন ৯নং তৌজির অন্তর্গত। ৩নং মৌজা মাহনাভবানীপুর স্থিত। এস,এ ৩৩১নং ও১৮৭নং আর, এস ৯৬৯ও ৯৬৮নং পৈতৃক ভিটার উপরে অনেক কষ্টে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন তিনি ।
আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ ধীরে ধীরে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটির সকল কাজ একেবারে সম্পূর্ন্ন করতে না পারায় আবারও ২টি টয়লেট এর নির্মাণ কাজ শুরু করলে,ভাওয়াল রেঞ্জ এর সিংড়া- তলী বিট এর কর্মকর্তা আবুল কালাম শামসুদ্দিন গেজেট লিষ্ট ২২২ এর আওতাভুক্ত জায়গা বলে ৫০হাজার টাকা দাবি করেন। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার স্বার্থে এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে বিট অফিসার আবুল কালাম শামসুদ্দীনকে ৫০হাজার টাকা দিতে রাজি হলে,নগদ ২০হাজার টাকা বুঝে নেয়। পরবর্তীতে বাকী ৩০ হাজার টাকা ঘুসের দাবি করলে, টাকা না দিতে পারায় ২৪/৫/২০০২৩ ইং তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
সমাজে অবহেলিত পরিবারের বুঝা হিসেবে বিবেচিত প্রতিবন্ধীদের গড়ে তুলেন এই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি। শত অভাব অনটন প্রতিকূলতার মাঝেও প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা সুমি করিম।
এই ঘটনার পরক্ষণেই আবুল কালাম শামসুদ্দিন সহকর্মীদের নিয়ে দ্রুত শ্রীপুর হসপাতালে গিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে, দ্রুত সময়ে থানায় গিয়ে ভুক্তভোগীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, আমরা বিনীতভাবে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। প্রশাসন যেনো এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও তার সহকর্মীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়।
এ বিষয়ে বিট অফিসার আবুল কালাম শামসুদ্দিনের কাছে ঘুসের দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকা লেনদেন এবং ৫ হাজার টাকার বিরিয়ানি খাওয়ার ব্যাপারে ভিডিওতে প্রধান শিক্ষিকা সুমি করিমের বক্তব্য এর বিষয়ে জানতে চাইলে "কি হইছে" বলে মুঠো ফোনের লাইন কেটে দেয়। তারপর একাধিকবার ফোন করলেও বিট অফিসার ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দেন।