উপ-পরিচালককে আল্টিমেটাম,প্রধান শিক্ষক শোকজ
লিখিত আবেদনের বক্তব্য অমার্জিত ও আল্টিমেটাম স্বরুপ হওয়ায় নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজকে শোকজ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. সানাউল্লাহ ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। রোববার শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারহাট্টা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজ লিখিত আবেদন করেন।
এতে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি চান তিনি। আবেদনের ভাষা অমার্জিত ও আল্টিমেটাম স্বরুপ হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেন উপ-পরিচালক। শোকজটি মেইলে আমাদের কাছে এসেছে। সেটি প্রিন্ট করে প্রধান শিক্ষককে দিতে চাইলে তিনি নিতে আগ্রহী হননি।
পরে ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে গত সপ্তাহে শোকজটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ ঠিক মত বিদ্যালয়ে যান না। সারাদিন অন্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০ জন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি চেয়ে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে আবেদন করেন। এতে অনমুতি দিতে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্মতি বা এ বিষয়ে সারা না দিলে ্#৩৯;অনুমতি দেওয়া হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হব্#ে৩৯; তিনি ওই আবেদনে উল্লেখ করেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হন উপ-পরিচালক। পরে তাকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সব কিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। উপজেলার একজন প্রধান শিক্ষক তার কোন সমস্যা প্রথমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসে জানাবেন। সেখানে সমাধান না হলে পরে জেলা শিক্ষা অফিসে জানাবেন। তারপরও সমাধান না হলে আমার কাছে আবেদন করতে পারে। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক সরাসরি আমার কাছে মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। তারও আবার আল্টিমেটাম দিয়ে। এমনটা একজন শিক্ষক করতে পারেন না। তাই এ বিষয়ে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ বলেন, আমাকে শোকজ করা হয়েছে আমি এর জবাব দেব। আমি যা করেছি আমার জায়গা থেকে সঠিক করেছি। যদি এটাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসদাচরণ মনে করে তাহলে তারা বিভাগীয় মামলা দেবে। আর যদি তারা অসদাচরণ করে তাহলে এই বলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইগাতীতে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত