শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

মহাস্থানগড় শীলাদেবী ঘাটে হিন্দুধর্মাম্বলীদের জৈষ্ঠ্যের দশমী মেলা অনুষ্ঠিত

গোলাম রব্বানী শিপন, বগুড়া থেকে

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৩১ মে ২০২৩

মহাস্থানগড় শীলাদেবী ঘাটে হিন্দুধর্মাম্বলীদের জৈষ্ঠ্যের দশমী মেলা অনুষ্ঠিত

মহাস্থানগড় শীলাদেবী ঘাটে হিন্দুধর্মাম্বলীদের জৈষ্ঠ্যের দশমী মেলা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় শীলাদেবী ঘাটে অনুষ্ঠিত হলো হিন্দুধর্মাম্বলীদের জৈষ্ঠ্যের দশমী মেলা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানানযায়, শীলাদেবী ছিলেন, মহাস্থানগড়ের শেষ হিন্দু রাজা পশুরামেরবোন বা ভগ্নি।

মুসলিম সাধক হযরত শাহ সুলতান বলখী (রহঃ) মাহীসওয়ার কর্তৃক তৎকালীন হিন্দু রাজ্যের রাজা পরশুরাম যুদ্ধে পরাজিত হবার পর শীলাদেবী করতোয়া নদীর এই স্থানে জলে ডুবে আত্মহুতি দেন। এরপর থেকে স্থানীয় হিন্দুধর্মাম্বলীরা  এই স্থানে প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা দশমীতে এবং ১২ বছর পরপর পৌষ-নারায়ণী স্নানের উদ্দেশ্যে এই স্থানে মেলা করতে সমাবেত হয়।

শুধু স্থানীয়রা নয় দেশের বাইরের অনেকেই এই স্নান উৎসবে অংশ নিতে করতোয়া তীরে চলে আসেন। অন্য এক জনস্রুতি মতে, স্থানটি এক সময় নৌপথে আমদানি করা পাথর খালাস ও স্তুপীকৃত করে রাখার জন্যে ব্যবহৃত হতো বলে কালক্রমে এর নাম হয় “শিলা দ্বীপ”, এবং যার বিকৃতরূপ সম্ভবত “শীলাদেবী” এবং “শীলাদেবীর ঘাট”। নামে পরিচিত।

পৃথিবীতে যত প্রাচীন ও আদিসভ্য নগরী আছে তার মধ্যে বগুড়ার মহাস্থানগড় একটা। আর এই মহাস্থানগড় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো জনবসতির ধ্বংসাবশেষ। মঙ্গলবার দুপুরে মহাস্থানগড় শীলাদেবী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ মেলায় এসেছেন হিন্দুধর্মাম্বলীরা। পূর্ণ্যার্থীরা শীলাদেবী মহাশ্মশান ঘাটে করতোয়া নদীতে পুজা পর্ব শেষে নদীতে স্নান করছেন।

অনেকেই তাদের রীতি অনুযায়ী পরিবার পরিজনদের নিয়ে মহাস্থান জাদুঘর এলাকার ছায়া সুনিবিড় স্থানে বসে চিড়া- দই খাচ্ছেন। মেলা উপলক্ষে বসেছে হরেক রকম দোকানপাট। জৈষ্ঠ্যের মৌসুমি ফলসহ ১ দিনের এ মেলায় ওঠেছে আকাশে উড়ানো ঘুড়ি, চং, গুড্রি,প্যাঁচা, চিল, বকদুল। মেলায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ টহলে নিয়োজিত ছিল। 

আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা