কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে ২১ দোকানঘর ছাই
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আগুনে ২১টি দোকানঘর সম্পূর্ণ পুড়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয়রা, বিজিবি সদস্য ও ফাযার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কলমাকান্দার লেংগুরা ইউনিয়নের লেংগুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল হক জানায়, সকালে বাজারে মনুর মুদির দোকান ও এনামূল হক পাখির কাপড়ের দোকান ঘরের মাঝখানে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আগুন লাগার ডাক চিৎকারের বাজারের লোকজন ছুটে আসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লেংগুরা বিওপির সদস্যরাও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা চালায়। পরে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসময় বাজারের দোকান ঘরে কোন লোকজন থাকে না ও দোকানগুলো তালাবদ্ধ থাকে। স্থানীয়দের সহায়তায় বিজিবির সদস্যরা এবং কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই মধ্যে বাজারের ২১টি দোকানঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন মনুর মুদির দোকানে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা, বেলায়েত হোসেন শুভ্র মৃধার মুদির দোকানে প্রায় ২০ লাখ টাকা, এনামূল হক পাখির কাপড়ের দোকানে প্রায় ১৫ লাখ টাকা, আজিম উদ্দিনের কাপড়ের দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকা, মো. মাসুদ মিয়ার প্রসাধনী দোকানে প্রায় ১৫ লাখ টাকা, দেলোয়ার হোসেনের সুতার দোকানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ও পরিমল বনিকের স্বর্ণের দোকানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকাসহ ২১টি দোকানের আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
লেংগুরা বাজার ব্যবসায়ী বনিক সমিতির সভাপতি মো. মিলন মিয়া বলেন, আগুনে মালামালসহ ২১টি দোকান ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় দুইকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর পাওয়ার মাত্রই যদি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে আসতো তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হতো।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা লিডার মো. শাহাজাহান বলেন, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্গাপুর ইউনিটসহ আমার ইউনিট আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন লাগার সল্প সময়ের মধ্যেই ২১টি দোকানঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তদন্তসাপেক্ষে ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পরে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় ২০ ঘন্টা ব্যবধানে দুই শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু