কলমাকান্দায় আকস্মিক ঝড়, দুই মৎস্যজীবি নিখোঁজ
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আকস্মিক ঝড় ও বৃষ্টিতে বসতঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার দিনগত রাত পৌনে ৩টা থেকে এই ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৪০ মিনিট। ওই ঝড়ের কবলে পড়ে সোনাডুবি হাওরে অনিল দাস (৪৫) ও বানবিলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) নামের দুই মৎস্যজীবি মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ অনিল দাস উপজেলার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে ও নিখোঁজ আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) পোগলা ইউনিয়নের বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের আব্দুল মোতালিব এর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক শ গাছ উপড়ে পড়ে। কিছু গাছ ভেঙে বাড়িঘরের ওপরে পড়লে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের বেশ কিছু তারের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে। আর এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, রাত প্রায় পৌনে ৩টার দিকে প্রচন্ড বেগে ঝড় শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে গাছপালাসহ বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে রাস্তায় পড়ে থাকায় বেশকিছু গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় ও তার ছিড়ে যাওয়ায় উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবি অনিল দাস ও আব্দুল কুদ্দুসসের বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা ফায়ারসার্ভিসের ইনচার্জ লিডার এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের একটি ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি (আজ) সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার সাহেবকে নিয়ে পরিদর্শণ করছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ বিবরণ এখনো পাইনি। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।