
কেন্দুয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলাধীন নওপাড়া ইউনিয়নের নুরেছা দুখেরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইকুল ইসলাম চান মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আজ, ৭ মে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ মে দিবাগত রাতে প্রায় ৮টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। এই সময়, পড়াশোনায় মনোযোগী না হওয়া ও ঘুমিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করেন। এরপর শিক্ষার্থী কেঁদে উঠলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়।
তবে, কিছু লোক অভিযোগটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কেন্দুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব রহিমা আক্তারকে।
অন্য সদস্যরা হলেন- ১. মোঃ আফতাব উদ্দীন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ২. মীর্জা মোহাম্মদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ৩. মোঃ নজরুল ইসলাম, সাব-ইন্সপেক্টর, কেন্দুয়া থানা, ৪. ইউনুছ রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা (কমিটির সদস্য সচিব)।
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ে শিশুদের সুরক্ষা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এ ঘটনার তদন্ত ও ফলাফল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যেকোনো অনিয়ম বা অভিযোগের তাৎক্ষণিক তদন্ত ও সমাধান শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুনঃ নেত্রকোণায় ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত
দুর্জয় বাংলা