
কেন্দুয়ায় ২১শে পদক প্রাপ্ত বাউল সাধক জালালউদ্দিন খাঁ’র স্মরণ সভা
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে আয়োজিত হলো কিংবদন্তি বাউল সাধক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জালালউদ্দিন খাঁ’র ৫৩তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে স্মরণসভা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে তাঁর বাড়ি ‘আবেহায়াত মঞ্জিল’ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ স্মরণসভা চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
সন্ধ্যায় মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর মাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল গনির সভাপতিত্বে এবং লেখক ও সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাউল সাধকের ভাবশিষ্য শতবর্ষী হাশেম শাহ ফকির, বাউল সুনীল কর্মকার, বাউল নূর মিয়া, বাউল আব্দল মজিদ তালুকদার, শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ও কণ্ঠশিল্পী আবুল বাশার তালুকদার, কণ্ঠশিল্পী প্রদীপ কুমার পন্ডিত, কবি মামুন শিরাজী, আলফত মিয়া প্রমুখ।
পরে রাতভর অনুষ্ঠিত হয় জালালগীতি পরিবেশনা, যেখানে অংশ নেন দেশের খ্যাতনামা বাউল শিল্পীরা—সুনীল কর্মকার, আনোয়ার হোসেন, দুলাল সরকার, স্বদেশ সরকার, সমীর দে, প্রদীপ পন্ডিত, বাউল সিরাজ মিয়া, নূর মিয়া, মতি মিয়া, মিয়া হোসেন, বিজয়, হৃদয় ও সোনা মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে স্মরণসভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, মরমী সাধক জালালউদ্দিন খাঁ ১৮৯৪ সালে কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭২ সালের ৩১ জুলাই সিংহেরগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে ইহলোক ত্যাগ করেন। তিনি পাঁচ খণ্ডে প্রকাশিত ‘জালাল গীতি’, অধ্যাপক যতীন সরকারের সম্পাদনায় ‘জালাল গীতিকা সমগ্র’ ও ‘বিশ্ব রহস্য’সহ একাধিক আধ্যাত্মিক গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর রচিত সাহিত্য ও সংগীত বর্তমানে দেশ-বিদেশে গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: নেত্রকোণার সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু আর নেই
রাখাল বিশ্বাস