বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

অকপট রবীন্দ্রনাথ

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৮ মে ২০২৫

অকপট রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

বিশাল রবীন্দ্র সরোবর সিঞ্চন করে প্রমাণ করতে হবে না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন জীবনাচরণে অকপট। সাহিত্যকদের রমরমা ভণ্ডামির যুগে রবীন্দ্রনাথের এই শিক্ষা খুবই জরুরী; কপট সাহিত্যসেবীরা নিজেদের জাহির করতে সাহিত্য বাজারে আসে; পদ-পদবী বাগিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। 

এক সময় সাহিত্য পাতা থেকে এরা হারিয়ে গেলেও ভালো সাহিত্যিকদের জন্য রেখে যায় কিছু কালিমা। বসবাসের জায়গাটা ঠিক রাখতে গিয়ে কুশিল্পীদের কাজের মাশুল গুনতে হয় প্রকৃত সাহিত্যকদের। এইসব ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অকপট। তাঁর নিজের সম্পর্কেও তিনি রেখেঢেকে কিছু বলেননি।

ভারতবর্ষের ইতিহাস ভারতের পাঠ্যপুস্তকে যা পড়ানো হয় তার অসারতা তিনি অকপটে প্রকাশ করেছেন। শাসক শ্রেণির কিংবা বোদ্ধা মহলের মনোভূমের থোড়াই কেয়ার করেছেন রবীন্দ্রনাথ। 

"ভারতবর্ষের যে ইতিহাস আমরা পড়ি এবং মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা দিই, তাহা ভারতবর্ষের নিশীথকালের একটা দুঃস্বপ্নকাহিনী মাত্র। কোথা হইতে কাহারা আসিল, কাটাকাটি মারামারি পড়িয়া গেল, বাপে-ছেলেয়, ভাইয়ে-ভাইয়ে সিংহাসন লইয়া টানা-টানি চলিতে লাগিল, এক দল যদি বা যায় কোথা হইতে আর-এক দল উঠিয়া পড়ে-পাঠান মোগল, পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংরাজ সকলে মিলিয়া এই স্বপ্নকে উত্তরোত্তর জটিল করিয়া তুলিয়াছে।"

ইতিহাস রচয়িতাদের ব্যঙ্গ করে ঠাকুর আরো বলেন " তেমনি ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় দফ্তর হইতে তাহার রাজবংশমালা ও জয়পরাজয়ের কাগজপত্র না পাইলে যাঁহারা ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্বন্ধে হতাশ্বাস হইয়া পড়েন এবং বলেন 'যেখানে পলিটিক্স নাই সেখানে আবার হিস্ট্রি কিসের', তাঁহারা ধানের ক্ষেতে বেগুন খুঁজিতে যান এবং না পাইলে মনের ক্ষোভে ধানকে শস্যের মধ্যেই গণ্য করেন না'। সকল ক্ষেতের আবাদ এক নহে, ইহা জানিয়া যে ব্যক্তি যথাস্থানে উপযুক্ত শস্যের প্রত্যাশা করে সেই প্রাজ্ঞ। "[ভারতবর্ষের ইতিহাস, ভাদ্র ১৩০৯]

আধ্যাত্মিক ভাবের জন্য গীতাঞ্জলিতে রবীন্দ্রনাথ পেলেন নোবেল পুরস্কার। বেদ-উপনিষদ মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন। একেশ্বরে বন্ধুর মতো বিশ্বাস ছিল তাঁর। কিন্তু ধর্মের গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেননি অকপট রবীন্দ্রনাথ। তাঁর 'মানুষের ধর্ম ' গ্রন্থে লিখেছেন

"মনুষ্যত্বের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই দেবতার উপলব্ধি মোহমুক্ত হতে থাকে, অন্তত হওয়া উচিত। হয় না যে তার কারণ, ধর্মসম্বন্ধীয় সব-কিছুকেই আমরা নিত্য বলে ধরে নিয়েছি। ভুলে যাই যে, ধর্মের নিত্য আদর্শকে শ্রদ্ধা করি বলেই ধর্মমতকেও নিত্য বলে স্বীকার করতে হবে এমন কথা বলা চলে না। ভৌতিক বিজ্ঞানের মূলে নিত্য সত্য আছে বলেই বৈজ্ঞানিক মতমাত্রই নিত্য, এমন গোঁড়ামির কথা যদি বলি তা হলে আজও বলতে হবে, সূর্যই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। 

ধর্ম সম্বন্ধে সাধারণত এই ভুলই ঘটে; সম্প্রদায় আপন মতকেই বলে ধর্ম, আর ধর্মকেই করে আঘাত। তার পরে যে বিবাদ, যে নির্দয়তা, যে বুদ্ধিবিচারহীন অন্ধসংস্কারের প্রবর্তন হয় মানুষের জীবনে আর-কোনো বিভাগে তার তুলনাই পাওয়া যায় না। এ কথা মানতে হবে, ভুল মত মানুষেরই আছে, জন্তুর নেই।" [মানুষের ধর্ম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৩, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]

হুমায়ুন আজাদ তাঁর 'বিশ্বাসের জগত' প্রবন্ধে বলেন  রবীন্দ্রনাথ " উপনিষদের বহু সুন্দর মিথ্যেয় সাজিয়েছেন জীবন ভ'রে। তিনি বিশ্বাস করতেন এক পরমসত্তায়, ওটা তাঁর নিজের উপলব্ধি নয়, পরের উপলব্ধি; তাঁর পিতা বহুদেবতাবাদী ধর্ম ছেড়ে একদেবতাবাদী পরমসত্তায় বিশ্বাস না আনলে, তাঁর পরিবার ওই একক পরমসত্তার স্তবে মুখর না হ'লে তিনিও থেকে যেতেন বহুদেবতাবাদী। 

রবীন্দ্রনাথের পরমসত্তায় বিশ্বাসের সাথে প্রথাগত ধর্মের বিশেষ মিল নেই; তাঁর বিশ্বাসে প্রথাগত ধর্মের স্বর্গনরক নেই, আবশ্যিক আরাধনা নেই, তাঁর পরমসত্তা সৃষ্টিকে শাস্তি দেয়ার জন্যে ব্যগ্র হয়ে নেই।
তিনি পরমসত্তার সাথে পাতিয়েছিলেন এক ব্যক্তিগত সম্পর্ক, যা অনেকটা প্রবল শক্তিমান প্রেমিকের সাথে আবেগকাতর অসহায় প্রেমিকার সম্পর্কের মতো।" 
রবীন্দ্রনাথের 'ধর্ম' প্রবন্ধ তা স্বীকার করে না। ধর্মের দুর্বল দিকে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অকপট। প্রেমিকের গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেননি কখনো, প্রেমিককে প্রবল পরাক্রমীও ভাবেননি। উল্টো জিজ্ঞেস করেছেন উপনিষদের আলোকে

'জীবনদেবতা' শ্রেণীর কাব্যে। ওগো অন্তরতম, মিটেছে কি তব সকল তিয়াষ আসি অন্তরে মম। আমি যে পরিমাণে পূর্ণ অর্থাৎ বিশ্বভূমীন সেই পরিমাণে আপন করেছি তাঁকে, ঐক্য হয়েছে তাঁর সঙ্গে। সেই কথা মনে করে বলেছিলুম, "তুমি কি খুশি হয়েছ আমার মধ্যে তোমার লীলার প্রকাশ দেখে।”[ মানবসত্য, 'মানুষের ধর্ম ' গ্রন্থের পরিশিষ্ট]

পাড়ায় সামান্য একটি পুরস্কার পেলে মনটার ওজন ভারী হয়ে ওঠে। নিজেরে কেমন সবজান্তা টাইপের মনে হয়। নোবেল পুরস্কার পেয়েও বাঙালি এমন কথা বলতে পারে রবীন্দ্রনাথ অকপটে শিখিয়ে গেছেন। পরবর্তী সময়ে কে কতটা নিজের ঢোল নিজে পিটিয়েছেন; কপট-অকপট থেকেছেন তা রবীন্দ্রনাথের দেখার কথা নয়। অকপট রবীন্দ্রনাথ তাঁর গীতাঞ্জলি নিয়ে

'গদ্যকাব্য' প্রবন্ধে দিলখোলে লিখলেন-
"ইংরেজি গীতাঞ্জলিকে উপলক্ষ ক'রে এমন-সব প্রশংসাবাদ করলেন যাকে অত্যুক্তি মনে করে আমি কুষ্ঠিত হয়েছিলাম। আমি বিদেশী, আমার কাব্যে মিল বা ছন্দের কোনো চিহ্নই ছিল না, তবু যখন তাঁরা তার ভিতর সম্পূর্ণ কাব্যের রস পেলেন তখন সে কথা তো স্বীকার না করে পারা গেল না। মনে হয়েছিল, ইংরেজি গন্ধ্যে আমার কাব্যের রূপ দেওয়ায় ক্ষতি হয় নি, বরঞ্চ পন্ধ্যে অনুবাদ করলে হয়তো তা ধিক্‌কৃত হত, অশ্রদ্বেয় হত।"
কপট ছিলেন না রবীন্দ্রনাথ, একথা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগলাম এজন্য যে আজকাল রবীন্দ্রনাথ নিয়ে হেন আলাপ হচ্ছে না যা কল্পনাতীত ।

অবশ্য আগেও রবীন্দ্রনাথের রচনা, ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্ম, আভিজাত্য এসব নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কেউ ভুল বুঝবে, কেউ না জেনে না পড়ে রবীন্দ্রনাথের ঘাড়ে অনেক দোষ চাপিয়ে দিবে আবার কেউ খণ্ডন করে দিবে রবীন্দ্রনাথের রচনার উদ্বৃতি দিয়ে, প্রকৃত ইতিহাস পাঠ করে। এর কারণ বাংলার সাহিত্যাকাশে রবি একজন, তিনি রবীন্দ্রনাথ। আর রবি তাঁর কিরণ সকল বাঙালিকে দিয়ে যাচ্ছেন।  কখনো তিনি কপট নন বলেই তার জ্যোতি চির- অম্লান। 

রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছোট্ট সমালোচনারও জবাব দিতে কপটতা করতেন না; নজরে এলে। আজকাল দুধের দাঁত পড়ার আগেই নিজেকে কৈলাশসৃঙ্গে স্থাপন করেন সাহিত্যিকেরা। রবীন্দ্রনাথ এক্ষেত্রেও শিক্ষণীয়।

"আজকেই মোহাম্মদী পত্রিকায় দেখছিলুম কে-একজন লিখেছেন যে, রবিঠাকুরের গদ্যকবিতার রস তিনি তাঁর সাদা গদ্যেই পেয়েছেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ লেখক বলেছেন যে 'শেষের কবিতা'য় মূলত কাব্যরসে অভিষিক্ত জিনিস এসে গেছে। তাই যদি হয় তবে কি জেনানা থেকে বার হবার জন্যে কাব্যের জাত গেল। এখানে আমার প্রশ্ন এই, আমরা কি এমন কাব্য পড়ি নি যা গদ্যের বক্তব্য বলেছে, যেমন ধরুন ব্রাউনিতে। আবার ধরুন, এমন গল্পও কি পড়ি নি যার মাঝখানে কবিকল্পনার রেশ পাওয়া গেছে। গল্প ও পদ্যের ভাশুর-ভাদ্রবউ সম্পর্ক আমি মানি না।" [ গদ্যকাব্য, রবীন্দ্র-রচনাবলী, সপ্তবিংশ খণ্ড, বিশ্বভারতী, কলকাতা, পুনর্মূদ্রণ আশ্বিন ১৩৮১ ]

কপট কি? কপট কথা কেন বলছি? কেন রবীন্দ্রনাথের মত অকপট হতে চাইছি? সর্বোত্তমরূপে প্রকাশিত হওয়ার প্রথম বাধা কপট হওয়া। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বঙ্গীয় শব্দকোষ' সাহিত্য অকাদেমি,  নতুন দিল্লী, তৃতীয় মুদ্রণ ১৯৮৮ অনুযায়ী কপট মানে অযথার্থ ব্যবহার, ছল, মায়া, বঞ্চক, প্রতারক ; কপটপ্রবন্ধ মানে ছলপূর্ণ বাক্যজাল।

রবীন্দ্রনাথ জমিদার; তাঁর রচনায় অনেকের অভিযোগ ছিল। রবীন্দ্রনাথ নিজেই সেই জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন। "এখানেই আমার শেষ কথাটা বলে নিই। আমার রচনায় যাঁরা মধ্যবিত্ততার সন্ধান করে পান নি ব'লে নালিশ করেন তাঁদের কাছে আমার একটা কৈফিয়ত দেবার সময় এল। পলিমাটি কোনো স্থায়ী কীর্তির ভিত বহন করতে পারে না। বাংলার গাঙ্গেয় প্রদেশে এমন কোনো সৌধ পাওয়া যায় না যা প্রাচীনতার স্পর্ধা করতে পারে। 

এ দেশে আভিজাত্য সেই শ্রেণীর। আমরা যাদের বনেদীবংশীয় বলে আখ্যা দিই তাদের বনেদ বেশি নীচে পর্যন্ত পৌঁছয়নি। এরা অল্প কালের পরিসরের মধ্যে মাথা তুলে ওঠে, তার পরে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বিলম্ব করে না। এই আভিজাত্য সেইজন্য একটা আপেক্ষিক শব্দ মাত্র। "[সাহিত্যবিচার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শান্তিনিকেতন, আষাঢ় ১৩৪৮]

চরকা আন্দোলনসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে মহাত্মা গান্ধীর সাথে মতের মিল ছিল না রবীন্দ্রনাথের।  রবীন্দ্রনাথ অকপটে তা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভেতরে একটা আর বাইরে আরেকটা কখনোই ছিল না। গান্ধীজির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন 

বক্তৃতায়-লেখায়- ভাষণে-আলাপচারিতায়। 'গান্ধীজি' প্রবন্ধে গান্ধীজির প্রতি তাঁর সম্মান, শ্রদ্ধার নিবেদন অনন্য উচ্চতার। তাই যারা বলেন রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজির সম্পর্ক বিপরীত মেরুর ছিল তারা সংশোধন করে নিতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ বলেন 

"আমরা উপবাসের অনুষ্ঠান করব, কেননা মহাত্মাজি উপবাস করতে বসেছেন-এই দুটোকে কোনো অংশেই যেন একত্রে তুলনা করবার মূঢ়তা কারো মনে না আসে। এ দুটো একেবারেই এক জিনিস নয়। তাঁর উপবাস, সে তো অনুষ্ঠান নয়, সে একটি বাণী, চরম ভাষার বাণী। মৃত্যু তাঁর সেই বাণীকে সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে, বিশ্বের কাছে, ঘোষণা করবে চিরকালের মতো। সেই বাণীকেই যদি গ্রহণ করা আমাদের কর্তব্য হয় তবে তা যথোচিত ভাবে করতে হবে। তপস্যার সত্যকে তপস্যার দ্বারাই অন্তরে গ্রহণ করা চাই।"
তিনি চাইতেন গান্ধীজি ভারতবর্ষের ভার গ্রহণ করুন। গান্ধীজির বিকল্প তিনি কখনো ভাবতে পারেননি। তাইতো গান্ধীজির জন্মদিনে তাঁর মুখে শুনি মহাত্মা বন্দনা "  

মহাত্মাজির জীবনের এই তেজ আজ সমগ্র দেশে সঞ্চারিত হয়েছে, আমাদের ম্লানতা মার্জনা করে দিচ্ছে। তাঁর এই তেজোদীপ্ত সাধকের মূর্তিই মহাকালের আসনকে অধিকার করে আছেন। বাধা-বিপত্তিকে তিনি মানেন নি, নিজের ভ্রমে তাঁকে খর্ব করে নি, সাময়িক উত্তেজনার ভিতরে থেকেও তার উর্ধ্বে তাঁর মন অপ্রমত্ত। এই বিপুল চরিত্রশক্তির আধার যিনি তাঁকেই আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা নমস্কার করি।"
[মহাত্মা গান্ধী,রবীন্দ্র-রচনাবলী, সপ্তবিংশ খণ্ড, বিশ্বভারতী, কলকাতা, পুনর্মূদ্রণ আশ্বিন ১৩৮১ ]

যারা এখনো মনে করেন রবীন্দ্রনাথ ছল-চাতুরী করে তাঁর গানে-কবিতায়-রচনায় আমাদের বশ করেছেন; তাঁর ব্রাহ্মমতে আমাদের দীক্ষিত করতে চেয়েছেন, আপনারা একটু চোখ খুলে রবীন্দ্র-রচনাবলী পড়ুন তাঁর কাজকে বিচার করুন। উপনিষদের সেই বাণীগুলোই তিনি নিয়েছেন যেসব বাণীতে মানুষের বন্ধুত্ব পাওয়া যায়। মানুষের বন্ধুত্ব পেতে তিনি দেবরাজ ইন্দ্রকেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি।

"ঋগবেদে একটি আশ্চর্য বচন আছে-
অভ্রাতৃব্যো অনাত্বমনাপিরিন্দ্র জনুষা সনাদসি। ষুধেদাপিত্বমিচ্ছসে।

হে ইন্দ্র, তোমার শত্রু নেই, তোমার নায়ক নেই, তোমার বন্ধু নেই, তবু প্রকাশ হবার কালে যোগের দ্বারা বন্ধুত্ব ইচ্ছা কর।

যতবড়ো ক্ষমতাশালী হোন-না কেন সত্যভাবে প্রকাশ পেতে হলে বন্ধুতা চাই, আপনাকে ভালো লাগানো চাই। ভালো লাগাবার জন্ম নিখিল বিশ্বে তাই তো এত অসংখ্য আয়োজন। তাই তো শব্দের থেকে গান জাগছে, রেখার থেকে রূপের অপরূপতা। সে যে কী আশ্চর্য সে আমরা ভুলে থাকি।"
কী ভয়ানক অকপট রবীন্দ্রনাথ! তাইতো তিনি রবি।

[ আত্মপরিচয়, রবীন্দ্র-রচনাবলী, সপ্তবিংশ খণ্ড, বিশ্বভারতী, কলকাতা, পুনর্মূদ্রণ আশ্বিন ১৩৮১ ]

আরও পড়ুনঃ কেন্দুয়ায় ১২শ হাঁসের মৃত্যুতে দিশেহারা খামারি

প্রাবন্ধিক

ব্রেকিং নিউজ:

দুর্গাপুরে দুর্বৃত্তদের কোপে উপ পুলিশ পরিদর্শক খুন
শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মেজর ডালিমের বক্তব্য
অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন মেজর ডালিম!
মোহনগঞ্জে ৩৯ হাজার টাকায় ২৭ কেজির বাঘাইড় মাছ বিক্রি
জিয়াউর রহমানের নাম নিলে বেহেশত নিশ্চিত: বিএনপি নেতা কামরুল হুদা
দুর্গাপুরে সাতদিন ব্যাপী কমরেড মণি সিংহ মেলা শুরু
গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেফতার
ময়মনসিংহে ৭২ ঘণ্টায় আকাশ হত্যা রহস্য উন্মোচন, দুইজন গ্রেফতার
সিলেটে ৩৭,৫৫০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
এক্সনহোস্ট ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে হোস্টিংয়ে ৬০% ছাড়!
বিচারের পরই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে: ড. ইউনূস
র‍্যাবের অভিযানে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী গ্রেফতার
র‌্যাবের হাতে কোম্পানীগঞ্জের যুবলীগ নেতা ইকবাল গ্রেফতার
ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী গ্রেফতার
সিলেটে র‌্যাবের হাতে ভয়ংকর সন্ত্রাসী শুটার আনসার ও সহযোগী নাঈম গ্রেপ্তার
সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর ব্যক্তিগত পিএসসহ গ্রেফতার-২
জুয়া খেলার টাকা দিতে না পারায় জুয়ারীকে মারপিট: আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন
জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেলসহ গ্রেফতার-১৫
কানাইঘাটের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার
সিলেটে পংকজ কুমার হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গ্রেফতার
নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা আটক
হবিগঞ্জে ৬৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামী আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র হত্যা মামলায় ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিস্ফোরক উদ্ধার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আফতাব আলী গ্রেফতার
হবিগঞ্জে আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
কেন্দুয়ায় ১০ বছর ধরে বাড়িছাড়া পাঁচ পরিবার
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা তৌফিক বক্স গ্রেফতার

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 859