
কেন্দুয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাধা ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার নওরীন (১৮) পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীর পিতা জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সকাল ৮টার দিকে তার মেয়ে পরীক্ষার জন্য কেন্দুয়া মহিলা কলেজে যাওয়ার পথে অটোচালক অসিম জানায় যে, তাকে কেন্দুয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
কারণ, উল্লেখিত দ্বিতীয় পক্ষগণ তাদের পরিবারের কাউকে কোথাও বাইকে বা গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে পরীক্ষার্থী হেঁটে নওপাড়া বাজারে গিয়ে বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা করতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় নষ্ট করে, যা তার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনে।
এই ঘটনার পরদিন, ২১ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ২টার দিকে তিনি বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানান। তবে ফেরার পথে নওপাড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের পাশে অটোস্ট্যান্ডে গাড়িতে উঠতে গেলে চালক সাইফুল জানান, তার পরিবারের কেউ গাড়িতে উঠলে ২য় পক্ষগণ চালককে ৫০০০ টাকা জরিমানা করবে।
এছাড়া, ভুক্তভোগীর পরিবার দাবি করেছে যে, তাদের দুটি দোকানপাট ৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে জোরপূর্বক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে তারা আর্থিক সংকট ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগকারীর মতে, দ্বিতীয় পক্ষগণের হুমকির কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, আজহারুল ইসলাম (রুশ নিয়া), মাসুদ মিয়া, আল আমিন, হাবিবুল্লাহ, সাদির উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, সাফায়েত, সাইদুল।
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দুর্জয় বাংলা