
এ কেমন শত্রুতা? পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন
এ কেমন শত্রুতা? পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ১৫ লাখ টাকা মূল্যে শিং মাছ নিধন করা হয়েছে। ফলে মাথায় হাত পরেছে মাছ চাষী সুনীল চন্দ্র বর্মনের।
ঘটনাটি ঘটেছে ০৮ জানুয়ারি বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের বর্মন পাড়ায়। মাছ চাষী সুনীল বর্মণের অভিযোগ প্রতিবেশী বাবুল বর্মন ও রঞ্জিত বর্মণের সাথে একটি রেন্ট্রি গাছ নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে ৪০ শতাংশ পুকুরে ৩ লাখ শিং মাছের পোনা চাষ করা হয়। আগেও আরেকটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হয়েছিল।
সুনীল বর্মন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবুল বর্মন ও রঞ্জিত বর্মণের ছেলেরা আমাকে টাকা পয়সা দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার চাষ করা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। এতে আমার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে চলে যাওয়ার সময় পাহারা দার আব্দুল জলিল তাদেরকে চিনেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুকুরে অনেক শিং মাছ ভেসে আছে এবং অনেক মরে তলিয়েও গেছে। সুনীল বর্মণের স্ত্রী নিয়তি রানী বর্মন মাথায় হাত দিয়ে আহাজারি করছেন আর বলছেন আমার কি সর্বনাশ করলোগো আমরা দিন রাইত এই পুকুরে মাছ চাষ করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করি।
আমাদের জীবনের সব সম্বল শত্রুরা শেষ কইর্যা দিছে। আমরা এহন কি কইর্যা এই ক্ষতি পুরণ করবো? তদন্ত করতে যাওয়া কেন্দুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।
তবে তিনি বলেন, পুকুর পারে এসে যতটুকু দেখেছি এবং বুঝেছি, তাতে মনে হয় খাদ্যের বিষ ক্রিয়ায় এবং বিষ প্রয়োগের ফলেই এসব শিং মাছের ক্ষতি হয়েছে। সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হলে পুলিশের মাধ্যমে মাছ সংগ্রহ করে ঢাকায় রিপোর্টের জন্য পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টিই হবে সঠিক।
বিষ প্রয়োগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সারোয়ার জাহান কাওসার বলেন বিষ প্রয়োগ করে রাতে কে বা কারা সুনীল বর্মনের পুকুরের প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে এতে সুনীল বর্মনের মাথায় হাত পরেছে।
আমি পরিষদের চেয়াম্যান হিসেবে এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত চাই। বাবুল বর্মনের ছেলে হৃদয় বর্মনের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আপনারাই বিষ প্রয়োগ করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরের মাছ নিধন করেছন, এ প্রশ্নের উত্তরে হৃদয় বর্মন বলেন আমি গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত নওপাড়া বাজারে মাছের ব্যবসা করছিলাম পরে বাড়িতে এসে এঘটনা শুনেছি।
আমাদে বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গাছ নিয়ে সুনীল বর্মনের সাথে যে শত্রুতা ভুল বোঝা বুঝি ছিল তা এক বছর আগেই ইউ.পি চেয়ারম্যানের সাথে মিটমাট হয়ে গেছে। তাদের সাথে আমাদের আর কোন বিরুদ নেই।
আরও পড়ুনঃ স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষনের অভিযোগ: নিয়ে নানা প্রশ্ন
সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা