
দুর্গাপুরে জোরপূর্বক ৮কাটা জমি দখলের চেষ্টা,থানায় অভিযোগ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আদালতের নিদর্শে অমান্য করে জোরপূর্বক আট কাটা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ১০ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের সাংসা গ্রামে এ জমি দখলের ঘটনাটি ঘটেছে।
জমি দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদ্বয় হলেন বাকলজোড়া ইউনিয়নের মোস্তাক ও আল আমিন গংদের বিরুদ্ধে। জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী সাংসা গ্রামের মমিন আলীর পুত্র আবুল হাশেম। জমির বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়া বাড়ি করলে পরিণতি খুব ভালো হবে না এমন হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছেন জমি দখরকারীরা। চরম নিরাপত্তাহীনতা ও উৎকণ্ঠায় ভুগছেন বলেও জানান আবুল কাশেম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার কেট্টা মৌজার আর.এস-১৪, এস.এ ১৫,বি.আর.এস-৫২৯, দাগ নং আর.এস, এস.এ ১৪৯,বি.আর.এস-২৭৯ শ্রেণি নামা ছয়ষট্টি শতাংশ ভুমি খরিদাসূত্রে প্রতিবেশী পূর্বধলা উপজেলার মৃত আশানন্দ গোপ এর পুত্রদ্বয় শম্ভুনাথ গোপ,ভোলানাথ গোপ,শান্তিরঞ্জন গোপ, বিপদ রঞ্জন গোপ পৈত্রিক এস এ রেকর্ড মতে প্রাপ্ত হয়ে বিগত ১২.০৩.১৯৭০ সালে ২৪৭৭ নাং সাফ কাওলা মূলে আবুল হাশেম মালিক হন। সেটি ২৫.০৩.২০০১ সালে ১০৬(ষী-১১)২০০০-২০০১ নং মিস কেইস মূলে নিজ নামে জমা খারিজ ও ডি. সি. আর ও ভূমি উন্নয়ন কর রশিদ প্রাপ্ত হন।
পরবর্তীতে ভুলক্রমে ১৯৮২ সালে ওই মূল মালিকদের নামে বিআর এস রেকর্ডভুক্ত হয়ে যায়। ওই ভুল রেকর্ডটি সংশোধন পূর্বক বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,দুর্গাপুর,নেত্রকোনা চৌকিতে একটি মোকাদ্দমা দাখিল করা হয়। যার নং-৯৪/২০২১। প্রায় ৪ মাস পূর্বে মাদুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি গ্রাম্য সালিস অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিসে গ্রাম্য মাতব্বর আপোষ মিমাংসার কথা বলে সাদা কাগজে সাক্ষর দেন আবুল হাশেম। ওই সাক্ষর এর পর থেকেই জমিটি দখলের পায়তারা করে আসছে।
থানায় লিখিত অভিযোগের সত্যতা জানতে দুর্গাপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক হারুন অর রশিদ জানান, অভিযোগটি পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। দুইপক্ষকে নোটিশ প্রদান করি। বাদী পক্ষ থানায় আসতে সম্মত হলেও, বিবাদী পক্ষটি থানায় আসতে রাজী হননি। আর ওই জমির বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিবাদীরা আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিস বসলে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ওই আট কাটা ২ শতাংশ জমি চাষ করা হচ্ছে। দুই পক্ষের কাগজপত্রাদী দেখে পরবর্তীতে যার কাগজ সঠিক,তাকে ধান দেয়া হবে। জমি দখলের অভিযোগটি সর্ম্পূন মিথ্যা বলে জানান অপু তালুকদার। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এ বিষয়ে জানান, আদালতে মামলা চলমান আছে এমন কোন জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সালিস করা উচিত নয়।
আমরা সকলে আদালতের বিষয়ে সজাগ থাকবো। বিদ্যমান জমির বিষয়টি নিয়ে যার পক্ষে রায় আসবে, আমরা পুলিশ তাকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জে জামায়াতের বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়ন কর্মী সমাবেশ
কলি হাসান