
মদনে হাওর থেকে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনার মদনে হাওর থেকে ফজল হক (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের শিবাশ্রম গ্রামের সামনের পাতুনিয়া হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফজল হক কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামের দারগ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ফজল হক স্ত্রী সন্তান সহ ঢাকায় বসবাস করতো। গত এক বছর আগে গার্মেন্টসের ইঞ্জিন দূর্ঘটনায় তার স্ত্রী মারা যায়। এর পর হতে ফজল হক তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিজ এলাকায় বসবাস করেন।
নিজের কোন বাড়ি-ঘর না থাকায় জাওলা বাজারের পাশে একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। সেখানে দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করার পাশাপাশি ভাঙাড়ি ব্যবসা করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে খাওয়া শেষে ঘর থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যান ফজল হক। কিন্তু রাতে ঘরে না আসায় তার শিশু সন্তানরা শনিবার সকালে বিষয়টা প্রতিবেশীদের জানায়।
পরে বিকেলে বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাতুনিয়া হাওরে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের মামাতো ভাই লালচান মিয়া বলেন, দুই সন্তান নিয়ে ফজল হক বাজারের পাশে একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন। সকালে তার শিশু সন্তানরা আমাকে জানায় তাদের বাবা রাতে ঘরে আসেনি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েছি। বিকেলে লোকজন জানায় হাওরে তার মরদেহ পড়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে।
মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুুড়ি সার্কেল) স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পূজাকে ‘অসভ্য মহিলা’ বলে কটাক্ষ
মদন