শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

তিন দিনের ব্যবধানে

ফুলবাড়ীতে কমেছে সবধরনের সবজির দাম! স্বস্তিতে সাধারণ

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২৩ মে ২০২৩

ফুলবাড়ীতে কমেছে সবধরনের সবজির দাম! স্বস্তিতে সাধারণ

ফুলবাড়ীতে কমেছে সবধরনের সবজির দাম!

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তিন দিনের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির আমদানি স্বাভাবিক থাকায় সবধরনের সবজির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা সবজি ব্যবসায়িরা।

সোমবার (২২ মে) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিনদিন আগে যে কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রকার ভেদে প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং শুকনো মরিচ ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকা। বর্তমানে কাঁচা মরিচা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ এবং শুকনো মরিচ ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজিদরে।  


একইভাবে বেগুনের দাম ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, তা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে, ৮০ টাকার পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ৪০ থেকে ৪২ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি, ৪০ টাকার পাটনাই আলু ৩৮ টাকা এবং ৫৫ টাকার বিলাতি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪২ টাকার ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, ৭৫-৮০ টাকার করলা ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়, ৪৫ থেকে ৫০ টাকার শষা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, ৯০ টাকার কাকরল ৭৫ টাকায়, ৪০ টাকার টমেটো ৩০ টাকায়, ৫০ টাকার তরই ৩০ টাকায়, ১৬০ টাকার রসুন ১৫০ টাকায়, ২৪০ টাকার আদা ২৩০ টাকায়, ৩৫ টাকার মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায়, ১০০ টাকার সজনা ৭৫ টাকায়, ৩৫ টাকার জালি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


ফুলবাড়ী সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা কলেজ শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত তিনদিন আগেও সব ধরনের তরিতরকারির দাম ছিল অনেকটাই বেশি। এখন কমে আসছে। এতে সবধরনের ক্রেতা মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের জন্য এটি একটি সুখবর। এ অবস্থা বজায় থাকলে সকলের জন্য উপকার হয়।  


ফুলবাড়ী বাজারে খুচরা সবজি শাহজামাল হোসেন ও শ্যামল চন্দ্র সাহা বলেন, এলাকায় সবজির চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদনও ভালো হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি প্রচুর পরিমাণে হাটবাজারে আমদানি হওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম কমে এসেছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম আরো কমে আসবে। তবে সবজির দাম কমে আসায় দোকানের বিক্রিও বেড়েছে।


ফুলবাড়ীর পাইকারি সবজি বিক্রেতা সুব্রত সরকার, সামসুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে কৃষকের সবজির ক্ষেতের জন্য আর্শীবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে সবজির ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি প্রচুর পরিমাণে হাটবাজারে তোলায় সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমে এসেছে। আগামীতে আরো কমে আসবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকছে কৃষি বিভাগ থেকে। এরজন্য সহযোগিতাও করা হচ্ছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক ব্যবসায়িকে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলা হয়েছে। কেউ যেন কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াতে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। দিনাজপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনি বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন: গৌরীপুরে ভুমি সেবা সপ্তাহ উদ্ধোধন ও আলোচনা সভা