
আশেকে জালাল বাউল কবি শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পৌর সদরের শান্তিবাগ মহল্লার চির পরিচিত মুখ বাউল কবি শেখ মো:শহীদুল্লাহ । তিনি একাধারে কবি,গীতিকার ,শিল্পী ও আধ্যাত্বিক গবেষক।
তাঁর আদি পৈত্রিক নিবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল মলমল(গতী পাড়া)গ্রামে। তিনি ১৯৫৫ খ্রী:জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত শেখ মো:উবায়েদুল্লাহ ও মাতা মৃত আয়াতুন্নেছা। শৈশবে তাঁর মাতা ইহলোক ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি মাতৃ আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে দাদা-দাদীর সংসারে বড় হতে থাকে।
কান্দিপাড়া আসকর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি দ্বিতীয় বিভাগে উর্ত্তীণ হয়ে ময়মনসিংহ অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী হিসেবে চাকুরীতে (সরকারী) যোগদান করেন। পরবর্তীতে বদলী হয়ে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে চলে আসেন। সেই থেকে তিনি আজ অবধি পর্যন্ত কেন্দুয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি চাকুরী থেকে অবসর প্রাপ্ত ।
শৈশবকালে তিনি উপমহাদেশের বাউল সম্রাট মরমী কবি জালাল উদ্দিন খাঁ-রচিত গান ও আধ্রাত্বিক তত্বের পুস্তক বিশ্বরহস্য পড়েন। সেই থেকে তিনি জালাল ভক্ত হয়ে যান এবং জালাল খাঁর লেখনী সংরক্ষণ করতে থাকেন।
৬৭ বছর বয়সী প্রবীণ এ কবি এখনো জালাল রচনাবলী নিয়ে গভীর গবেষনা করে যাচ্ছেন। তাই তাঁকে আশেকে জালাল বা জালাল প্রেমিক বলা-ই যায়। এ পর্যন্ত তিনি বহু গান,কবিতা ও গবেষনামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে জ্ঞানোজ্জ্বল শহীদ গীতি মালা প্রকাশিত হয়েছে। গান রচনার সংখ্যা প্রায় ৮ শতাধিক।
তাঁর রচিত গান নিয়ে বাংলাদেশ বেতার টেলিভিশনের শিল্পী প্রদীপ পন্ডিতের সুর ও কন্ঠে আটটি গানের একক এ্যালবাম ”বন্ধুর লাগি” শিরোনামে বাজারে বের হয়েছিল।
বাউল কবি শেখ মো:শহীদুল্লাহ বলেন…
গানই আমার প্রাণ,গানই ধ্যান,জ্ঞান।
আর এই গানকে সম্বল করেই অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চাই ।তিনি আরও বলেন,আল্লাহ যতদিন গান লেখার মত তৌফিক দান করেন ততদিন পর্যন্ত গান রচনা করে যাবো ইনশাল্লাহ॥
আরও পড়ুন: দামাল ছেলে