পূর্বধলায় সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিলেন ইউএনও
নেত্রকোনার পূর্বধলায় এক সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে এ হুমকি দেন।
ভূক্তভোগি সাংবাদিক দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ খান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ১৫ আগস্ট সকালে তিনি অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সংবাদ সংগ্রহের জন্য।
এ সময় ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স হঠাৎ তাকে দেখে ক্ষেপে যান ও তাকে আটকের জন্য পূর্বধলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কারণ জানতে চাইলে তাকে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।
সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান আরো জানান, ‘পূর্বধলায় ইউএনওকে বয়কট করলেন ইউপি চেয়ারম্যানরা’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রকাশনায় প্রকাশিত হলে এর দায়ভার তার উপর চাপিয়ে দিয়ে এমন আচরণ করেছেন ইউএনও।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আল মুনসুর জানান, প্রায় ১৫-২০জন লোকের সামনে ইউএনও সাহেব সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদকে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উপজেলা সংবাদদাতা ও পূর্বকন্ঠ অনলাইন প্রকাশনার প্রকাশক-সম্পাদক শফিকুল আলম শাহীন জানান, ‘পূর্বধলায় ইউএনওকে বয়কট করলেন ইউপি চেয়ারম্যানরা’ এই শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক ও পূর্বকন্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর Uno Purbadhala এই ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তাকে ব্লক করে দিয়েছেন ইউএনও।
পূর্বধলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনও সাহেব আমাকে বলেছেন । কিন্ত আমিতো অভিযোগ ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি না।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই । খোঁজ নিয়ে দেখছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ বা সাংবাদিক মোস্তাক নামে তিনি কাউকে চেনেন না। কারো সাথে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: শ্রীবর্দীতে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার