মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

কলমাকান্দায় ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ মৎস্যজীবীর লাশ ভেঁসে উঠলো হাওরে

প্রকাশিত: ১২:৫০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কলমাকান্দায় ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ মৎস্যজীবীর লাশ ভেঁসে উঠলো হাওরে

কলমাকান্দায় ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ মৎস্যজীবীর লাশ ভেঁসে উঠলো হাওরে

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মঙ্গলবার সকালে সোনাডুবি হাওরে ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ অনিল চন্দ্র দাস নামের এক মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করলো-স্বজনরা।

গত রোববার রাত পৌনে ৩টা থেকে ওই ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৪০ মিনিট। ঝড়ের কবলে পড়ে অনিল দাস (৪৫) নামের এক মৎস্যজীবি সোনাডুবি হাওরে  মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিহত অনিল দাস কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে। সে পেশায় একজন তালিকাভুক্ত উপজেলার মৎস্যজীবীর সদস্য।

নিহতের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস জানান,গত রোববার  রাতে পরিবারের সাথে খাবার খেয়ে প্রতিদিনের মতো মাছ ধরার উদ্দেশ্য ছোট্ট একটি নৌকায় করে বাড়ীর সামনে সোনাডুবি হাওরে বের হন তিনি। ওই রাতে বাবার আসতে দেরি দেখে প্রায় রাত ২ টা ৫৪ মিনিটে বাবার মোবাইল ফোনে কল দেন। তখন রিসিভ করে তিনি বলেন আবহাওয়া ভালো না। কিছুক্ষণ পর মাছ নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসবেন বলে ফোন কেটে দেন বাবা। এর কিছুক্ষণ পর ঝড় তুফান শুরু হয়।  এরপর থেকে বাবা নিখোঁজ ছিলেন। 

পরে খবর পেয়ে সোমবার দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল অনিল চন্দ্র দাসের মরদেহ  খোঁজাখুজি করে সন্ধান পাননি। পরে সকাল ৬ টার দিকে সেন্টু চন্দ্র দাস নামে এক স্থানীয় মৎস্যজীবী (নিহতের সম্পর্কে ভাগ্না) সোনাডুবি হাওরে মাছ ধরতে গেলে নোয়াগাঁও গ্রামের মাঝখানে হাওরের পানিতে  হালকা ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ অনিল চন্দ্র দাসের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসি।

এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে নিহতে অনিল চন্দ্র দাসের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ষাঁড় বাছুর ও খাদ্য বিতরণ


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 798