
বাউল শিল্পী মুকুল সরকার
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের উদীয়মান বাউল শিল্পী মুকুল সরকার ইতোমধ্যে সংগীত জগতে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে তিনি ১৯৮৭ সালের ৬ জুলাই নোয়াদিয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো:কাজিম উদ্দিন,মাতা মোছা: কুলজান।
মুকুল সরকারের বয়স যখন ১০,তখন থেকেই গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। লস্কর পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন তিনি।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশন করেন গানের সাধনায়।
তার সংগীত জগতের প্রথম উস্তাদ বিটিভি ও বেতারের গীতিকার ফজলুর রহমান।দ্বিতীয় উস্তাদ বাংলাদেশের প্রখ্যাত পালাগায়ক বাউল আ:সালাম সরকার। তাদের কাছ থেকে গানের তালিম ও তথ্য শিক্ষা নিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক মঞ্চে একক ও পালাগান করেছেন।
মন ভ্রমরা,প্রেমের কাস্টমার,মায়া লাগাইছে,আসমানের চাঁন,মুর্শিদের নুরের নিশান নামে বাজারে রয়েছে তার সিডি এলবাম।এছাড়াও হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী(রহ:)মাজার শরীফে অনুষ্টিত বিটিভিতে প্রচারিত অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করেছেন।
বাউল সম্রাট জালাল উদ্দিন খাঁর বাড়িতে ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হযরত আনু শাহ্(রহ:)মাজারে মুকুল সরকারের পরিবেশিত গানের প্রচার হয়েছে বিটিভিতে ।মাছরাঙ্গা টিভিতে রাঙ্গা সকাল অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ও সংগীত পরিবেশন করেছেন।
শিল্পী মুকুল সরকার ৫ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সকলের ছোট। জীবন সঙ্গী মিম আক্তার। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১২ বছরের সন্তান মো:রাব্বী মিয়া ও ৪ বছরের কন্যা ঐশী আক্তারকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন বলে জানান তিনি।
গীতিকার ফজলুর রহমানের প্রসংগে তিনি বলেন-উনি আমার প্রথম উস্তাদ হলেও আমি উনাকে পিতৃ আসনে ঠাঁই দিয়েছি। উনিও আমাকে সন্তান স্নেহে আজকের মুকুল সরকার পর্যন্ত টেনে তুলেছেন। বর্তমানে নিজের নামের ইউটিউবে চ্যানেল বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করে থাকেন।
ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে শিল্পী মুকুল সরকার জানান,গান ছাড়া অন্য কোন চিন্তা ভাবনা করতে পারি না। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিনই গানের ভুবনে আমি নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দিতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রেমময় তুমি