বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

শোকের মাসে চেয়ারম্যানের আনন্দমেলা

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৯:৫০, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শোকের মাসে চেয়ারম্যানের আনন্দমেলা

শোকের মাসে চেয়ারম্যানের আনন্দমেলা

১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রিয়ভাবে এ দিবসটি শোকের সাথে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তাই পুরো আগষ্ট মাসকে শোকের মাস হিসাবে পালন করে এদেশের মানুষ। কিন্তু পুরো আগষ্ট মাস জুড়ে আনন্দমেলার আয়োজন করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জম্ম দিয়েছেন ল²ীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু। উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের পানিয়ালা বাজার সংলগ্ন আকারতমা নামক স্থানে গত ১৬আগষ্ট জমকালো আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্ভোধন করেন চেয়ারম্যান। ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেলার আয়োজক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু মেলার কার্যক্রম তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের কোন অনুমতি না নিয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিদিন মাসেহারা দিয়ে অসাধু নামধারী কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের মাধ্যমে মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। শোকের মাসে এরকম মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বত্র নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনার সৃষ্টি হলে মেলার আয়োজন নিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জাতীয়, স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলে ‌দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন ইসলামের নির্দেশে মেলার আয়োজক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু মেলার কার্যক্রম তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দেন। এরই সাথে চেয়ারম্যান সহ জড়িত নেতাদের এমন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন।

মেলার উদ্যোক্তা ছিলেন মোঃ হাসান (বকুল), কবির হোসেন সোহেল, ভোলাকোট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ও মেলা কমিটির সভাপতি ইমন রনি, সহ- সভাপতি ফয়েজ বাবু, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিঠু, সদস্য রাতুল, ফাহাদ, ইউছুপ, মিলন, সুপ্ত, বাধন পাটওয়ারী, শামীম পাঠান, আশিক হোসাইন সহ প্রমুখ।

এব্যাপারে ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু জানান, আমি মেলায় গিয়েছি সত্য। শোকের মাসে এরকম জমকালো মেলার আয়োজন বিষয়ে আমি আগে কিছু জানতাম না। আমি নিষেধও করেছিলাম।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাকিবুল হাসান মাসুদ জানান, আমি মনে করি এই মেলার আয়োজন আওয়ামীলীগকে বিতর্ক করার জন্য করা হয়েছে। এমন কর্মকান্ডের জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না।

রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, কাউকে না জানিয়ে কিভাবে কার অনুমতি নিয়ে মেলাটি চললো তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে মেলাটি বন্ধ করার জন্য বলে দিয়েছি। শোকের মাসে এধরনের আনন্দ উদযাপন দুঃখজনক।

আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 798