আসাদ চৌধুরী এ্যানি ও তাজকিরা হক তাজিন
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের দুই প্রতিভাবান তরুণ-তরুণী বিশ্বের বড় দুটি দেশ- চীন ও রাশিয়ার দুটি আন্তর্জাতিক উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাজকিরা হক তাজিন। আগামী ১ থেকে ৭ মার্চ কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে আয়োজিত এই বিশ্ব যুব উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ২০ হাজার অংশগ্রহণকারী থাকবেন। সেখানে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে একমাত্র অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকছেন সুনামগঞ্জের তাজিন।
এদিকে চীনের ঐতিহাসিক শহর হুআক্সাইয়ে অনুষ্ঠেয় ১৪তম এশিয়া প্যাসিফিক হারমোনিকা ফেস্টিভ্যালে দেশের প্রথম হারমোনিকা বাদক হিসেবে চীন যাচ্ছেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার আসাদ চৌধুরী এ্যানি। আসাদ আন্তর্জাতিক মিউজিকাল কোম্পানি এস্টটপের বাংলাদেশ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। চীনের আন্তর্জাতিক এশিয়া প্যাসিফিক হারমোনিকা ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় হারমোনিকা ফেস্টিভ্যাল। বিশ্বের নামকরা সব হারমোনিকা বাদক এবং মিউজিশিয়ানরা ভিড় জমান এ ফেস্টিভ্যালে। আগামী ৮-১১ আগস্ট আয়োজিত এই আসরে সর্বপ্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হারমোনিকা বাদক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন আসাদ।
হারমোনিকা নিয়ে দেশের অনেক খ্যাতিমান শিল্পী ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন আসাদ। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই তাকে হারমোনিকা প্লেয়ার হিসেবে চেনেন। হারমোনিকা বাদ্যযন্ত্রটিকে নতুনভাবে সবার সামনে নিয়ে আসতে কাজ করছেন তিনি।
আসাদ বলেন, হারমোনিকা বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বিশ্বে অনেক ব্যবহার থাকলেও বাংলাদেশে এর ব্যবহার খুবই কম। আমি এটি নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছি।
দেশে আমার অনেক সফলতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে চীন যাওয়া অন্যতম একটি অর্জন। বাংলাদেশ থেকে প্রথম কেউ এ উৎসবে অংশ নেবে। সেখানে আমি যাওয়া মানে বাংলাদেশ যাওয়া। হারমোনিকাকে বাংলাদেশের মানুষ ও মিউজিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়াই আমার মূল লক্ষ্য। তাজকিরা হক তাজিন বলেন, জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, তা-ও আবার রাশিয়ায়। কখনো ভাবতে পারিনি, জীবনে এমন সুযোগ পাব।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। অপেক্ষায় আছি- ১ থেকে ৭ মার্চের সেই চমৎকার অনুষ্ঠানে পৃথিবীর সব দেশের তরুণ-তরুণীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য। এটি আমার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। ভাবলেই আনন্দ পাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভালোভাবে চমৎকার সব অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজ দেশে ফিরে আসতে পারি। সেই সঙ্গে নিজের দেশের মুখও যেন উজ্জ্বল করতে পারি। সুনামগঞ্জের দুই তরুণ-তরুণীর এ অর্জনে খুশি তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুমহল। দুজনকে ফেসবুক ও ফোনে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: হত্যাকান্ডে জড়িত মামলার আসামির স্বীকারোক্তি ভিডিও ভাইরাল
মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্