শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

অপারেশন সার্চলাইট ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ: হায়দার জাহান চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ১৩ মে ২০২৩

অপারেশন সার্চলাইট ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ: হায়দার জাহান চৌধুরী

হায়দার জাহান চৌধুরী

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। ঐদিন সকাল বেলা একটি সামরিক হেলিকপ্টার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কয়েকজন জেনারেল রংপুর, রাজশাহী, যশোহর, চট্রগ্রাম ও কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্টে গিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্ল্যান ক্যান্টম্যান্টে অবস্থানরত পাকিস্থানী কমান্ডারদের সাথে ব্রীফ করেন। ঢাকায় প্রথম এবং প্রধান টার্গেট ৩২নং ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর বাড়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টার, রাজারবাগ পুলিশ লাইন।


৫টা ৪৫মিনিটে জেনারেল ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট হাউস ত্যাগ করেন। অপারেশন সার্চ লাইট সম্পর্কে পাকিস্তানি পরিকল্পনার কথা জানা যায়, ১৯৭১ সালে ঢাকায় পাকিস্তান ইষ্টার্ন কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দীক সালিক লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থ থেকে, এখানে তার গ্রন্থ থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ পাঠকদের জানার জন্যে উদ্বৃত করা হলো ; মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ২৫ মার্চ রাজনৈতিক আলোচনার ফলাফল জানার জন্যে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সকাল ১১টায় সবুজ টেলিফোন বেজে উঠলো, জেনারেল টিক্কা খান লাইনে ছিলেন, তিনি বললেন খাদিম এটা আজ রাতে। এ খবর খাদিমের মনে কোনো উন্মাদনা সৃষ্টি করলোনা। তিনি হাতুরির আঘাত পড়ার অপেক্ষায় ছিলেন। খাদিম তার অধীনস্থদের আদেশটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন। খবরটি যতই নিচের দিকে যাচ্ছিলো ততই উত্তেজনা বাড়ছিলো। আমি দেখলাম কয়েকজন জুনিয়র অফিসার কয়েকটি রিকোয়েলস রাইফেল (ট্যাঙ্কবিদংশী) অতিরিক্ত গোলা বারুদ সংগ্রহ এবং কয়েকটা ত্রুটিপুর্ন মর্টার বদলানোর চেষ্টা করছে।


ইতিপূর্বে রংপুর থেকে আনা ২৯ ক্যাভালরির ৬টি এম-২৪ ট্যাঙ্ক রাতে ব্যবহারের জন্য জ্বালানি বোঝাই করা হচ্ছে, ঢাকার রাস্তায় নামানোর জন্য এবং ভয় ভীতি প্রদর্শনের জন্য ঐ ট্যাঙ্কগুলো যতেষ্ট। ১৪শ ডিভিশন সদর দপ্তর থেকে ঢাকার বাহিরে সব গ্যারিসনে আক্রামনের সময় এইচ আওয়ার জানিয় দেয়া হলো একটি গোপন সংকেতের মাধ্যমে যাতে গ্যারিসনগুলো এক সঙ্গে অভিযান শুরু করতে পারে। এইচ আওয়ার নির্ধারিত হয়েছিল, রাত ১টায় অর্থাৎ ২৬ মার্চ। অনুমান করা হয়েছিলো ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর থেকে শুরু করা হয়েছিলো। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ৫৭ ব্রীগেড নিয়ে ব্রিগেডিয়ার আরবারের অধীনে ঢাকা শহর অপারেশন করবেন, রাও ফরমান আলী বাকী অংশ এর তদারকি করবেন। জেনারেল টিক্কা খান ও তার স্টাফ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ও মার্শল ল’ হেডকোয়ার্টার ও ঢাকার বাহিরে অংশের তদারকি ও পর্যবেক্ষণের জন্য রাতভর অবস্থান করবে। মেজর সিদ্দীক সালিক আরো বলেন, তাদের মতো জুনিয়র অফিসারেরা শেরেবাংলা নগর ২য় রাজধানীর মার্শাল ল’ হেডকোয়ার্টারে রাত ১০টায় থেকে সমবেত হতে থাকি।
এইচ আওয়ার সুচনা হয়২৬ মার্চ। সকাল বেলা ১০টার মধ্যেই আমরা নেত্রকোণা স্বাধীনতাকামী ছাত্র জনতা খবর পেয়ে গেলাম ঢাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ই পি আর হেডকোয়ার্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঘুমন্ত ঢাকাবাসী উপ আক্রমণে চালিয়েছে সেই সাথে ৩২ ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। হানাদার বাহিনীর হামলা ও গ্রেফতারের খবর সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরলে স্বাধীনতা কামী জনতা ভিসুবিয়াসের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতোই জ্বলে উঠে স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে।


২৫ মার্চের পর ঢাকা সহ সারাদেশে পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা বাঙ্গালী ছাত্র শ্রমিক কষক সিপাহী জনতা যার যা শক্তি আছে তাই নিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল। ২৫ মার্চে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮ম বেঙলয়ের বাঙ্গালী সৈনিকরা মেজর জিয়ার নেতৃত্বে প্রথমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে

ষোল শহর ইপিআর এর বাঙ্গালী সৈনিকরা মেজর রফিকের নেতৃত্বে বিদ্রোহে অংশ নেয়। বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাঙলাদেশের সব ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সৈনিকরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। ১লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ ও স্বাধীনতাকামী জনগনই এই আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করছে। কেবলমাত্র সেনানিবাসগুলো ব‌্যতিত দেশের সর্বত্রই পতপত করে উড়ছিল স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা। ৭১ এর মার্চ মাসেই সারা দেশের ছাত্র যুবক কৃষক শ্রমিক জনতা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সহ স্বাধীনতাকামী মানুষ যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধে শরিক হতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের সর্বত্রই হরতাল অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনি করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ হয়ে উঠে অগ্নিগর্ভ।


৭ মার্চ ঢাকায় রেসকোর্সের ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” তিনি আরো বলেন ” ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। অনবদ্য কবিতার মতো এই ঘোষণা বাংলার স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের মনে স্বাধীনতার দাবানল জ্বালিয়ে দেয়।

পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শুরু হয় শিকল ভাঙ্গার গান। নেত্রকোণায় প্রায় প্রতিদিনই চলছে সশস্ত্র জঙ্গি মিছিল। প্রতিদিন শহরের আশপাশে এলাকা থেকে কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতাসহ খেটে খাওয়া মানুষ লাঠিবল্লম নিয়ে এসব মিছিলে যোগ দিতে থাকে। স্বাধীনতার স্বপ্নে উত্তাল হয়ে ওঠে নেত্রকোণার মানুষের জনজীবন।

নেত্রকোণায় ছাত্র লীগের নেতৃত্বে গঠিত স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ইতোমধ্যেই কিছু কিছু আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ‌ করে মিছিলে অংশ নিতে থাকে। ছাত্র নেতৃবৃন্দ রাতের আঁধারে নেত্রকোণা সরকারি কলেজে সায়েন্স ল্যাবরেটরির তালা ভেঙে বোমা তৈরির কাজে লাগতে পাড়ে‌ এমন সব রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে এসে বোমা তৈরি করতে শুরু করে এবং পরিক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘঠিয়ে এর কার্যকারিতাও দেখে নেয়। এমনি করে চলতে থাকে নেত্রকোণায় প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি।

নেত্রকোণায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধের একটি সশস্ত্র গ্রুপ গড়ে তুলে। সেদিন যে কয়জন ছাত্র নেতা জীবন বাজি রেখে বিশ্বের বুকে নতুন মানচিত্র সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাধীনতার সোনালী সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনতে প্রথম অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে মোঃ শামছুজ্জোহা‌, হায়দার জাহান চৌধুরী (লেখক), আসরাফ আলী খান খসরু (বর্তমান প্রতিমন্ত্রী), বুলবুল, আনিছুর রহমান, আনছার কমান্ডার আলী উসমান ও আবদুল মজিদ তারামিয়া এমপি প্রমুখ। তারাই পরবর্তী সময়ে নেত্রকোণা পুলিশের এসডিপিওকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে পুলিশ অস্ত্রগার থেকে তিনশত রাইফেল ও দশ হাজার রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে এনে স্থানীয় আনছার মুজাহিদ ও ছাত্র নেতৃবৃন্দকে দিয়ে জয়বাংলা বাহিনী গঠন করে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে নেয়।

ইতোমধ্যেই স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও ডাকসু কর্তৃক প্রেরিত স্বাধীনতার ইশতেহার নেত্রকোণায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হাতে এসে পৌঁছায়। এই ইশতেহারে বাংগালী ইপিআর পুলিশ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়। ইশতেহার গুলো আমরা স্থানীয় ভাবে বিতরণ করতে শুরু করি। সেই সাথে নেত্রকোণায় সীমান্ত এলাকায় বাঙালি ইপিআরদের বিওপি গুলোতে বিতরণ করার জন্য আবদুল মজিদ তারা মিয়া ও শামছুজ্জোহার নেতৃত্বে একটি টিম সীমান্ত এলাকায় গিয়ে ইপিআরদের মাঝে ইশতেহার বিতরণ করে এবং তাদের সাথে গোপন বৈঠক করেন।

ইতোমধ্যেই ইপিআর এর সুবেদার মেজর আজিজ কলমাকান্দা দুর্গাপুর সীমান্তের বাঙালি ইপিআরদের নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং বিওপিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন সেটি হলো বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট গুলোতে অবস্থানরত পাকিস্তানি ইপিআর সৈনিকদেরকে আগেই বন্দী করে ফেলা হয়। পরে এদের ভাগ্যে যা ঘটার তাই ঘটৈছে। পরবর্তীতে ইপিআর এর সৈনিকরা সুবেদার মেজর আজিজ এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ মধুপুর এলাকায় হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেয়।

এমন করে তৎকালীন নেত্রকোণা মহকুমা ছাত্র লীগ ও জয়বাংলা বাহিনী নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়নসহ স্বাধীনতাকামী ছাত্র যুবক নিজ নিজ দলীয় অবস্থান থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে মুক্তি সংগ্রামকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দিন রাত কাজ করছিল। ‌স্বাধীনতাকামী ছাত্র যুবকরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সীমান্ত এলাকায় মুক্তিযুদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিওপিগুলোতে প্রাথমিক যুদ্ধ কৌশল হিসেবে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধরা আরো সংঘটিত হয়ে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প গুলোতে সরাসরি আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। হানাদার বাহিনীর এই ক্যাম্পগুলো ও দখলকৃত বিওপিগুলোতে মুক্তিবাহিনীর আক্রমনের টার্গেট হতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর গ্রুপগুলো হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যায়।

১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে খালিয়াজুরি ও মধ্যনগর ব্যাতিত সকল থানা সদরে স্থাপিত হয় হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প। হানাদার বাহিনীর এই ক্যাম্পগুলো ও দখলকৃত বিওপিগুলোতে মুক্তিবাহিনী ‌ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যায়, পরবর্তীতে হানাদার বাহিনীর অবস্থানগুলির উপর হামলা অব্যাহত থাকার এই রণকৌশল নিয়ে শুরু হয় ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্বাদের যুদ্ধ কার্যক্রম। সেই সাথে নেত্রকোণা অঞ্চলে প্রধান দুটি এফএফ ক্যাম্প, মেঘালয়ের রংরা বাঘমারা ও জেকসুগ্রাম এলাকায় বিএসএফ এর ক্যাপ্টেন মুরারী ও ক্যাপ্টেন চৌহান রংরা ক্যাম্পের নেত্রকোণা অঞ্চলে যুদ্ধরত মুক্তিযুদ্ধা কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা ব্রিফিং ও লজেষ্টিক সাপোর্ট দিয়ে যেতে থাকেন।

এমনি করে নেত্রকোণা‌ অঞ্চলে বিশেষ করে ১১ নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম চলতে থাকে। এ অঞ্চলে মোট ২৯টি কোম্পানি ও মুজিব বাহিনী (বিএলএফ) এর বিশেষ গেরিলা ফোর্স সহ প্রায় পাঁচ হাজার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধাদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে যুদ্ধ পরিচালিত হতে থাকে। পরবর্তীতে ১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে ১১নং সেক্টরকে কয়েকটি সাব সেক্টরে ভাগ করে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। মুক্তিযুদ্ধরা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভক্ত হয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এভাবে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ‘৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের বুকে নতুন মানচিত্র নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

লেখক: হায়দার জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক
 

আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বঙ্গবন্ধু: হায়দার জাহান চৌধুরী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ:

ঈদ ও নববর্ষে পদ্মা সেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী
কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের চাকা ফেটে তিনজনের মৃত্যু
র‌্যাব-১৪’র অভিযানে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত প্রকৃতি কন্যা জাফলং ও নীল নদ লালাখাল
কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘জালাল মেলা’ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী চড়কসহ গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত
কেন্দুয়ায় আউশ ধানের বীজ বিতরণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
কলমাকান্দায় দেশীয় অস্ত্রসহ পিতাপুত্র আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামগঞ্জে জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে গোবরের তৈরি করা লাকড়ি গৃহবধূরা
ফুলবাড়ীতে এসিল্যান্ডের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন চাঁদা দাবি: থানায় জিডি দায়ের
ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা
ধর্মপাশায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলো এক শিক্ষক
সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ায় রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন
মসিকে ১০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ উদ্বোধন করলেন মেয়র
কলমাকান্দায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক যতীন সরকারের জন্মদিন উদযাপন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের ৮৮তম জন্মদিন আজ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এমএলএম mtfe বন্ধ
কলমাকান্দায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লো তিন মাদক কারবারি
আটপাড়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে নেশাগ্রস্থ কিশোরের আত্মহত্যা
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস
কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে ২১ দোকানঘর ছাই

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 809