![কেন্দুয়ায় লাম্পি রোগে একদিনে ৫ গরুর মৃত্যু: দিশেহারা গরুর মালিক কেন্দুয়ায় লাম্পি রোগে একদিনে ৫ গরুর মৃত্যু: দিশেহারা গরুর মালিক](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023May/Lumpy-disease-2306011301.jpg)
কেন্দুয়ায় লাম্পি রোগে একদিনে ৫ গরুর মৃত্যু: দিশেহারা গরুর মালিক
গত মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের আশুজিয়া গ্রামের অত্যন্ত দরিদ্র জেলে সম্প্রদায়ের মনোরঞ্জন দাসের ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি গর্ভবতী গাভী, রহিছ উদ্দিনের ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ষাঁড় বাছুর, নগুয়া গ্রামের গোলাপ মিয়ার ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ষাঁড় বাছুর, বলাইশিমুল গ্রামের পিনু মিয়ার একটি বকনা বাছুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এ ছাড়া নিতাই দাস, আবু চানসহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গরুর মালিকগণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বলাইশিমুল গ্রামের আতিকুর রহমান চান্নু জানান, মঙ্গলবার এক রাতে এলাকার ৫টি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় দরিদ্র মানুষগুলো ভেঙ্গে পড়েছেন। এর আগেও এলাকায় এই রোগে আরো কয়েকটি গরু মারা গেছে।
কয়েকটি ইউনিয়নে শতাধিক গরু আক্রান্ত বলে তিনি জানান। প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উচিত হবে জনসচেতনতার জন্য এলাকায় মিটিং ও মাইকিং করে রোগ প্রতিরোধ কল্পে কাজ করা। বুধবার কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরে খোঁজ নিতে গেলে পাইকুড়া ইউপির বৈরাটী গ্রামের আক্রান্ত গরুর মালিক বায়েজিদ মিয়া জানান, তার ৩ লাখ টাকা মূল্যের ষাঁড় গরুটি ৫দিন ধরে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
গরুটির শরীরে জ্বর, কাঁপনি এবং চামড়ায় গুটি গুটি কি যেন দেখা দিয়েছে। তাদের এলাকায় আরও বেশ কিছু গরুর এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: ভাস্কর চন্দ্র তালুকদার বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামের এই রোগটি আফ্রিকায় দেখা দেয়। ২০১৯ সনে বাংলাদেশেও গবাদি পশুর শরীরে এই রোগ প্রথম হয়।
বর্তমানে কেন্দুয়া উপজেলার সর্বত্র এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটির প্রতিরোধের লক্ষ্যে আমরা লিফলেট বিতরণ, সভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বারদের করণীয বিষয়ে অবহিত করছি। আমার এখানে প্রতিদিন ৮/১০টি আক্রান্ত গরুর লাম্পি স্কিন ও ডিজিজের চিকিৎসার সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি।
গরুর মালিকদের বলছি কোন গরু আক্রান্ত হলে সেটিকে আলাদা রেখে মশারী টানিয়ে রাখতে যেন মশা-মাছি বসতে না পারে। এটি মশা-মাছির মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ্য গরুর শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রত্যেক ইউনিয়নে আমাদের টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মর্জিনারে আমি তোরে ভূলতে পারিনা