![বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবন্ধন কর্মসূচি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবন্ধন কর্মসূচি](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023November/Barapukuria-Coal-Mining-Area-Victims-Human-Bonding-Programme-2403031630.jpg)
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবন্ধন কর্মসূচি
৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চৌহাটি ও হামিদপুর গ্রামবাসী।
রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি ও হামিদপুর শাখার সভাপতি এরশাদ মন্ডল।
মানবন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্যে তিনি বলেন, কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা তোলার ফলে এই এলাকার বসতবাড়ি ফেটে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না আতঙ্কে। এলাকার কোনো টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না। আমরা গ্রামবাসী গত ২৯ ফেব্রুয়ারি/২০২৪ কয়লাখনি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। এর আগেও বহুবার দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তা আমলে নিচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত কোনোপ্রকার পরিদর্শনসহ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা এলাকাবাসী দ্রুত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন চাই।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি ও হামিদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, এহসানুলহক হিটলার, সহসভাপতি সামিউল ইসলাম, সহসভাপতি সুলতান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেনাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি এরশাদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ দফা দাবি না মেনে নিলে খনিএলাকা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এবিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, তারা যে এলাকার কথা বলছে, তা আমাদের মধ্যে পড়েনি। কি করণে তাদের ঘরবাড়ি ফেটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। ইতোমধ্যে আমাদের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন প্রদান করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কংকনা রায়