মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের ভোটের লড়াই
আগামী ৯ই মার্চ ত্রিশাল পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ৩জন থাকলেও ভোটে মূল লড়াই হচ্ছে বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বাধীনতা বিরোধী এই দুই পরিবার। এই নির্বাচনকে ঘিরে সারা ত্রিশালসহ পৌরসভা জুড়েই নানা জল্পনা-কল্পনা আলোচনা কে হবে পৌর মেয়র? এক সমীক্ষা জড়িপে দেখা যায়- ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হোসেন চেয়ারম্যান সুযোগ্য সন্তান, ত্রিশাল পৌরসভার তিনবারের সাবেক সফল মেয়র, ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ (এমপি) এর সহধর্মিণী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পুত্রবধু শামিমা আক্তার পৌরবাসীর চাওয়া থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচাল করতে ও অগ্রহণযোগ্য করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের একজন প্রার্থী হয়েছেন নির্বাচন অগ্রহনযোগ্য করতে। এর বাস্তব প্রমান হচ্ছে গত দ্বাদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে এই বিএনপি নেতা ও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের প্রার্থী নির্বাচনের আগে বিএনপি কেডারদের নিয়ে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মশাল মিছিল করেছেন আওয়ামীলীগের অপপ্রচার করেছেন। ১৯৭১ সালের পর যেভাবে এই পরিবারটি এবিএম আনিছুজ্জামান এর পরিবার কে হেয় প্রতিপণ্য করতে লেগে আছে তা এখনো পর্যন্ত তার সন্তানেরা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক ভাবেই হোক, রাজনৈতিক ভাবেই হোক, আর যেকোন নির্বাচনের বেলাই হোক এই দুই পরিবারের যুদ্ধ দেখে মনে হয় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সেই পুরনো দ্বন্দ্ব এখানেই জীবিত । বর্তমান এমপির সহধর্মিণী শামীমা আক্তার জনগনের অনুরোধে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির নেতা আমিন সরকার ফুঁসে উঠেছে মানহানিকর বক্তব্য রাখছেন তার মিটিংয়ে মেয়র শামীমাকে মূর্তি বলে উক্তি করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় বদনাম ছড়াচ্ছেন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বাস্তবতায় বর্তমান যিনি নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন এর আগেও তিনি দুইবার মেয়র নির্বাচন করেছেন।
জনগণ তাকে সমর্থন করেনি। জনগন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পক্ষে কখনো যায় নাই। সেই সময় গুলোতে স্বাধীনতার পক্ষের প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান কে পৌরবাসী একটানা তিনবার বিপুল ভোটে মেয়র বানিয়েছিলেন।
আজ যখন আবারো পৌরসভার উপ-নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষ্য ঐক্য হয়েছেন ঠিক এই সময় পরাজিত নিশ্চিত জেনে ঐ প্রার্থী আবারো নির্বাচনে এসে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যেন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। কিছু দিন আগে ঐ প্রার্থী আমিনুল ইসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাঁধাগ্রস্থ করতে মশাল মিছিল করেছেন। আজ তিনি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনকে অগ্রহনযোগ্য করতে এবং বানচাল করতে ত্রিশাল পৌরসভা ও বহিরাগত জামাত বিএনপি কেডারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সরকার বিরোধী কর্মকান্ড হাসিল করার জন্য। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বংশধর পৌরসভার চলমান নির্বাচন বাঁধাগ্রস্থ করতে যা ঘটেনাই তা অভিযোগ আকারে বিভিন্ন স্থানে জমা দিচ্ছেন।
বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্যের বিরোদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়িয়ে দিচ্ছেন যাতে সরকার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। সে জাতীয় সংসদ সদস্যের বিরোদ্ধে কিছু মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পত্রের রিপোর্টারদের এবং পত্রিকা অফিসে পাঠাচ্ছে তিল কে তাল বানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়ে নির্বাচন এর আমেজ নস্ট করে করছেন। জনপ্রিয় এমপির ইমেজ নস্ট করছেন। একজন নারীর বিরুদ্ধে ঢালাও ভাবে বলে যাচ্ছেন যা ত্রিশালের মুক্তিযুদ্ধের পরিবার গুলোকে খেপিয়ে তুলছেন। এই প্রতিহিংসা নিয়ে নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী এভাবে বলার সুযোগ পেলে ত্রিশালের মুক্তিযুদ্ধের শক্তির উপর আগাৎ সৃষ্টি করার মত।
পৌর নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ এমপির সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি মাত্র ১মাস হলো এমপি হয়েছি আমারতো কিছু চাওয়ার বাকী থাকতে পারে না। পৌরবাসী আমার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোর করে তাদের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আমার সহধর্মিণীকে মেয়র প্রার্থী করেছে এখানে আমি এই নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ করি নাই। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভার দু'একটি ওয়ার্ডের জনগন আমাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে এটাকে প্রতিপক্ষ মহল ভিন্নভাবে চালিয়ে নিতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
জগ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শামীমা আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনগন আমাকে জোর করে প্রার্থী করেছে। আমি জনগনে কথা প্রার্থী হয়ে সকলের কাছে দোয়া চাইতে একাই ছুটে বেড়াচ্ছি এতে এমপির কোন প্রকার সহযোগীতা নেই এমন কি দু'জন একসাথে কোথাও ভোট চাইতে গেয়েছি এই প্রমানও কেউ আজো দিতে পারবেনা। পরে আমিন সরকারের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: অস্ত্র ও মাদকসহ ৭ মামলার আসামি র্যাবের হাতে গ্রেফতার