অধ্যাপক অপু উকিল, মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার ফারুকী, সেলিনা বেগম সুমি। ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে জনগনের রায়ে কেন্দুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক অপু উকিল।
বুধবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সকালে অপু উকিলের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা: হারুনুর রশিদ তালুকদার (ফারুকী) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমিকে অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, তোমাদের বিজয়ে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছি। আগামী দিন গুলো আরও আলোকিত হোক এ প্রত্যাশাও করেন তিনি।
অধ্যাপক অপু উকিলের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে কেন্দুয়ার বিভিন্ন মহলে হচ্ছে মুখ রোচক আলোচনা। রাজনীতি নীতির রাজা এবং রাজনীতিতে শেষ বলতে কোন কথা নেই এভাবেই আলোচনা হচ্ছে। আর বিষয়টি এভাবে বিবেচনায় এনে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাকে মেনে নিয়ে অধ্যাপক অপু উকিল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেই আলোচনা হচ্ছে বেশি।
গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঘোড়া প্রতীকে ৩৭ হাজার ০৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা। তার নিকটতম প্রতিধন্ধী কাপ-পিরিচ প্রতীকে নূরুল আলম মো: জাহাঙ্গীর চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫৮ ভোট। এছাড়া আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী হুমায়ূন কবির চৌধুরী দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৫ ভোট। মোটর সাইকেল প্রতীকে সালমা আক্তার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৮৫ ভোট এবং আনারস প্রতীকে মো: মিজানুর রহমান মিজান পান ৪ হাজার ৯০০ ভোট।
জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, নূরুল আলম মো: জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও সালমা আক্তার প্রকৃত আওয়ামী ঘরানার লোক হলেও তিন জনের মধ্যে কেউই নৌকা মার্কার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের পক্ষে নির্বাচন করেননি। তারা ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান নেত্রকোনা-৩ আসনের এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর বিজয়ের পক্ষে।
অধ্যাপক অপু উকিল সেসব বিষয় পেছন ফেলে সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহব্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই অভিনন্দন বার্তার ফলে বিভিন্ন মহলের মানুষের মুখে মুখে একটাই আলোচনা চলছে, অপু উকিল হিংসাত্বক রাজনীতি পেছন ফেলে উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে সুন্দর আগামীর পথে হেটে চলছেন বলেই নব নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার এবং দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমিরও শুভকামনা ও আগামীর দিন গুলি আরও আলোকিত হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন। অনেকেই বলছেন ধংসাত্বক ও গ্রæপিং রাজনীতি শুধু দলেরই ক্ষতি করে না ব্যক্তি জীবনেও অনেক কিছু বিনাশ করে তাকে। তাদের মতে নির্বাচনে একই দলের অনেকেই প্রার্থী হতে পারেন যেহেতু দলীয় কোন প্রতীক নেই বা এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সেই নির্বাচনকে উৎসব মুখর করতে দলের যে কেউ প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হলে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো রাজনীতির একটি সুন্দর শিষ্টাচার।
এ শিষ্টাচারের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে সকলে মিলে একসাথে সুন্দর রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করে এক সাথে পথ চলা। অধ্যাপক অপু উকিল নব নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়ে এমটিই ইঙ্গিত করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল নেতারা মন্তব্য করেছেন। সুন্দর হোক রাজনীতি, সুন্দর হোক এক সাথে মিলে আগমীর পথ চলা।