
মা কেমন আছো ওপারে
যখন তোমার বুকে মাথা রেখে সুখের নিদ্রায় আচ্ছন্ন হতাম
তখন মনে হতো আমি স্বর্গের বিছানায় শুয়ে আঁছি শান্তির নীড়ে।
তোমায় মনে পরে মাগো মনে পরে প্রতি ক্ষণেক্ষণে ,
জানি না মাগো কেমন আছো ঐ অন্ধকার কবরে মন যে আমার চটপট করে সারাক্ষণ তোমার সনে।
প্রবাসে এসে সব হারিয়েছি দুইটি চোখে শেষ দেখা দেখতে পারেনি তোমাকে
মা সেই তেরো বছরের তোমার ছোট্ট মেয়েটি,
কত যে চোখের জলে ভাসিয়েছি আঁখি দুটি ।
জানে শুধু আমার মন জানে এ অন্তর কোথায় পাবো তোমায় মাগো
যে দিন চলে যায় সে দিন কি আর ফিরে আসে মাগো সে দিন কি আর ফিরে আসে।
তুমি গর্ভধারিনী মা
তুমি যে ছিলে আমার স্বর্গের পৃথিবীর অমূল্য রতন ,
সারাজীবন তোমার চরণে সেবা করলে জানি শোধ হবে না এক ফোঁটা দুধের ঋণ।
খোদার কাছে দোয়া করি মাগো ভালো থেকো ঐ পারে সারাটি জীবন।
আমি নীরবে চোখের জল ফেলি তাঁহার কাছে নিশি রাতে অবিরত ,
ডানা ভাঙা পাখির মত আমি বড় অসহায় প্রতিনিয়ত।
সময় বড় নিষ্ঠুর মাগো এ ভুবনে
কেমন করে চলে যায় বন্ধি খাঁচার ভিতর।
মায়ের মুখের মধুর বাণী আর তো শুনবো না
আর তো প্রান খুলে ডাকতে পারবো না।
আর তো দেখবো না মধু মাখা মায়ের হাঁসির মুখ খানি।
প্রাণ জুড়িয়ে তো আর ধন্য হব না
রবে শুধু আমার মনে মা হারানো বেদনা।
আরও পড়ুন: মানুষের মানবিকতা কোন পথে!