মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

ময়মনসিংহের চাঞ্চল্যকর আশা হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত: ১৫:০৩, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

ময়মনসিংহের চাঞ্চল্যকর আশা হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার 

চাঞ্চল্যকর আশা হত্যা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার 

দীর্ঘ ১৩ বছর পর ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর আশা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সাদ্দাম'কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ।

 "বাংলাদেশ আমার অহংকার" এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাব বাংলাদেশের  আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র‍্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষন, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ১৯ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার মাওনা থানা এলাকা হতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর আশা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সাদ্দাম (৩৬), পিতা- ফকির ড্রাইভার, সাং- আকুয়া হাবুল বেপারীর মোড়, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ'কে দীর্ঘ ১৩ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, কোতোয়ালী থানাধীন মাসকান্দা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও টাকা পাওনা আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম (৩৬) সহ অন্যান্য আসামী সুজন, সোহাগ, উজ্জ্বল, মিল্লাত ও মানিক তাদের প্রতিবেশী ফজলুল হক এর ছেলে আশা (২৩) কে ২০১০ সালে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা মোঃ ফজলুল হক বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোহাগ ও সাদ্দাম বাদে বাকি সব আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী সুজন, সাদ্দাম ও সোহাগের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ০৫/০৩/২০২৩ খ্রি. তাদের ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন। উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়  তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মিল্লাত ও মানিক জামিনে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মারা যায়। ঘটনার পর হতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আসামী সাদ্দাম দীর্ঘ ১৩ (তের) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: মোজাফরপুর সাগরদীঘির ইতিকথা

র‍্যাব-১৪


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 798