
মধ্যনগরে জনতার হাতে তিন ডাকাত আটক
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের দূর্গম হাওরের নৌ-পথে ডাকাতির সময় তিন ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বিষাড়া গ্রামের পাশের গুরুমার হাওর সংলগ্ন বৌলাই নদী পথে এ ডাকাতির ঘটনাটি সংগঠিত হয়।
আটককৃত ডাকাতরা হলেন, পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সোহরাব মিয়া, (২৬), একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ইমরান মিয়া (৪০) ও তাহের আলীর ছেলে মহিবুল মিয়া (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদর ইউনিয়নের গোজাখলিয়া গ্রামের মৃত মন্টু সাহার ছেলে মোদি দোকানী মিল্টন সাহা দীর্ঘদিন যাবত নৌকাযোগে নৌ-পথে থাকা বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে মালামাল বিক্রি করে আসছিলেন। এ অবস্থায় প্রতিদিনের ন্যায় তিনি রবিবার ভোরে মধ্যনগর বাজার থেকে দোকানের মালামাল নিয়ে নৌকাযোগে বিষাড়া গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে ওইদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁর নৌকাটি গুরমার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন যাওয়া মাত্রই সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ৬ সদস্যের একটি ডাকাত দল মালবোঝাই ওই নৌকাটিকে আটক করে।
বিষয়টি টের পেয়ে ব্যবসায়ী মিল্টন সাহা তার সাথে থাকা নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা নিয়ে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নদীর পাড়ে নেমে দৌড়ে চলে যেতে যান। এক পর্যায়ে ডাকাতেরাও দৌড়ে তাকে ধরে ফেলে। এসময় ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ব্যবসায়ী মিল্টন সাহাকে রক্তাক্ত জখম করে তার সাথে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা চিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে তারা বিষাড়া গ্রাম সংলগ্ন একটি জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। এসময় মিল্টন সাহার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি শুনে ওই জঙ্গলের চারপাশে ঘিরে ফেলে এবং ওই তিন ডাকাতকে আটক করতে পারলেও অন্য তিন ডাকাত পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে মধ্যনগর থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, এলাকাবাসী তিন ডাকতকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এবং বাকি তিন ডাকতকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আটককৃত ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের নামে ওইদিন দুপুরে থানায় মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল- হাজতে পাঠানো হয়েছে।