শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

চন্দনাইশে ২টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রশাসন

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৩০ মে ২০২৩

চন্দনাইশে ২টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রশাসন

চন্দনাইশে ২টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রশাসন

চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যৌথ অভিযানে চন্দনাইশে ২টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং একটি ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

২৯ মে সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব এলাহাবাদস্থ পাহাড়ি অঞ্চল আমতল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক।

জানা যায়, গত রোববার বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাড. এলিনা খান অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ–পরিচালক, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে চন্দনাইশের পূর্ব এলাহাবাদ আমতল এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক উর্মি সরকার, নমুনা সংগ্রহকারী চন্দন বিশ্বাস। অভিযানে মেসার্স শাহ আলী রজা (রহ.) ব্রিকস্‌ ম্যানুঃ ও মেসার্স পটিয়া ব্রিকস্‌ ম্যানু. নামে দুটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং মেসার্স শাহ আমানত ব্রিকস ম্যানু. নামে অপর একটি ইটভাটায় লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় কার্যক্রম পরিচালনা করায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে এবং সকল স্থাপনা অপসারণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। অভিযানে চন্দনাইশ থানার এসআই অজয় চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এবং চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সহায়তা প্রদান করে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক।

এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড রত্নপুর এলাকায় গাজী ব্রিকস ম্যানু. (জিবিএম) নামে একটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। এসময় অবৈধভাবে ইট পোড়ার দায়ে চুল্লীতে পানি ছিটিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। 

এসময় ওই ইটভাটার অফিস কক্ষ ও মেশিন রুম সিলগালা করে দেয়া হয়। একই সাথে প্রস্তুতকৃত ইট, ২টি ভ্যান গাড়ি, ১টি ইট ভাঙার মেশিন, ১টি ট্রাক্টর জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়।

আরও পড়ুন: বিআরটিএ’র কর্মচারীর ঘুষ বাণিজ্য একাউন্টে মিলল দেড় কোটি টাকা!


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 808