
স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বলি গৃহবধূ শাপলা স্বামীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বলি গৃহবধূ শাপলা আক্তার (২৮) এই খুনের ঘটনায় শাপলার স্বামী মুকলাত হোসেন তার ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন ও স্বামীর প্রতিবেশি ফারহানা খানমসহ ৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জন সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাপলার ছোট ভাই মতি মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া বাদী হয়ে ৩০ জুুুুুুুুুুুুুুুুুুুন কেন্দুয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ শাপলা খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকা অভিযোগে শাপলার স্বামী মুকলাত হোসেন ও তার ছোট ভাই মোজাহিদ ও প্রতিবেশি বিধবা নারী এক সন্তানের মা ফারহানা খানমকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে।
একেই সাথে তাদের কে জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ দত্ত।
জানা যায় গত প্রায় আট মাস আগে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কীর্তনখলা গ্রামের মতি মিয়ার কন্যা শাপলা আক্তারের সাথে একেই উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের পূর্ব মোজাফরপুর গ্রামের মদ্রিছ মিয়ার ছেলে মুকলাতের রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই মুকলাত বাড়ির পাশে মৃত আমিরুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা খানমের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই শাপলার সাথে তার স্বামীর ঝগড়া বিবাদ হতো।
এছাড়া কোরবানি ঈদের আগে মুকলাতের এক ভাগিনা শাপলার দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা চুরি করে নিয়ে যায়। এই দুটি বিষয় নিয়েই শাপলার সাথে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের অন্যান সদস্যদের বিরোধ দেখা দেয়। যে কারণে ঈদের পর শাপলাকে তার বাবার বাড়িতে যেতে দেয়নি মুকলাত। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর সাথে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শাপলার মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়। এর পর তার বিছানায় ও শাপলার মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে শাপলা আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
মামলার বাদী শফিকের দাবি স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকেরা আমার বোনকে হত্যার পর মৃত দেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে আগুনে পুড়ে আমার বোন মারা গেছে। আমি এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফাসি চাই। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী হোসেনের ভাষ্য স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বাধা দিতে গিয়েই খুন হয়েছেন গৃহবধূ শাপলা। এমনটি তদন্তে বেড়িয়ে আসছে।
শাপলা খুনের ঘটনায় এক নারী ও স্বামীসহ ১১ জনকে আসামি বলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামী ও নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মামলার তদন্ত ও অন্যান্য আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কলমাকান্দায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত