রামগঞ্জে বোরকা পরে ডাকাতি, স্বর্নালংকার লুট, থানায় অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বোরকা পরে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটে নিয়েছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা। ২আগষ্ট বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন নারায়নপুর মন্তিয়ান মিয়াজি বাড়ীর মৃত. আনোয়ার উল্লা মুন্সীর বসতঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মোঃ ওসমান মিয়া। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এব্যাপারে ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভুগী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েরা বিয়ের পর আর মায়ের কাছে না থাকায় পাঁচ কন্যা সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম স্বামী আনোয়ার উল্লার মৃত্যুর পর থেকে স্বামীর বসতঘরে একাই বসবাস করে আসছিলেন । একা থাকার সুযোগে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা বোরকা পরে বুধবার রাতে ফিরোজার ঘরে ঢুকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার কান ও গলার স্বর্নালংকার জোরপূর্বক টেনে হিছড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের সাথে ফিরোজার ধস্তাদস্তি হয়।
এসময় ডাকাত দলের দুইজনকে চিনে ফেলে ফিরোজা। আলমারীতে থাকা নগদ টাকা লুটে নেয় দলের অন্য সদস্যরা। পরে ফিরোজার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে দ্রুত পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরোজাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভুগী ফিরোজা বেগম বলেন, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বোরকা পরে কয়েকজন লোক আমার ঘরে ঢুকে পাথর দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে কান ও গলায় থাকা স্বর্নালংকার জোরপূর্বক টেনে হিছড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পাশর্^বর্তী ঘরের সোহেল ও তার স্ত্রী মনি বেগম ডাকাতদের সাথে ছিলো। তাই তাদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। সোহেল ও তার স্ত্রী আমার ঘরে ডাকাতি করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
অভিযুক্ত সোহেল ও তার স্ত্রী মনি বেগম বলেন, আমরা এখানে জমি কিনে বাড়ি করেছি। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি স্থানীয়রা। এরপর থেকে পাশর্^বর্তী দোকানদার আবদুর রহিম সহ কয়েকজন মিলে এখান থেকে তুলে দেয়ার জন্য আামাদেরকে কয়েকবার মারধর করেছে।
কোনকিছুতেই আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পেরে কিছু লোক আমাদের উচ্ছেদ করার মজন্য ডাকাতির ঘটনায় আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। দোকানদার আবদুর রহিম বলেন, সোহেল ও তার স্ত্রী মনি বেগম ডাকাতদের সাথে ছিল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগী ফিরোজা বেগম। আমার সাথে যে ঝামেলা হয়েছে তা অন্য কারনে হয়েছে।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, ভুক্তভুগী ফিরোজা বেগম পাশর্^বর্তী ঘরের লোকজনকে সন্দেহ করছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় পাঠানোর নামে প্রতারণা: পিবিআই’র হাতে দুইজন গ্রেফতার