
ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৩ দিন পর যুবকের সন্ধান পান পরিবার
নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিচয়ে তুলে নেওয়া মুফতি মুনিরুল ইসলামের সন্ধান পান তার পরিবারের সদস্যরা তিনদিন পরে। মুফতি মুনিরুল ইসলাম কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচকাটা গ্রামের মো. জাকির হোসেনের পুত্র ।
গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মুফতি মুনিরুলের সন্ধানে তার বাবা জাকির হোসেন কলমাকান্দা থানা ও নেত্রকোণা ডিবি কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছেন। পরে আজ রবিবার সকালে নিখোঁজের জন্য সাধারণ ডায়েরী করতে কলমাকান্দা থানা গেলে জানতে পারেন তার ছেলেকে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরিরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল পল্টন থানায় একটি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলায় আটক করেছে ( মামলা নং ৩০, তারিখ : ১৫/০৯/ ২০২২ ইং ) ।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ডিএসবি) মো. লুৎফুর রহমান ও কলমাকান্দার থানা ওসি মো. আবুল কালাম (পিপিএম) তারা দুজনই সিটিটিসি কর্তৃক মুফতি মুনিরুল ইসলামের আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি মুনিরুলের বাবা জাকির হোসেন বলেন, গত তিনদিন ধরে কলমাকান্দা থানা ও জেলা ডিবি কার্যালয়ে ছেলের সন্ধানে গিয়েছি। কিন্তু তারা কেউ আমার ছেলে কোথায় আছে তা তারা জানেন না। আজ (রবিবার) সকালে থানা জিডি করতে গেলে ওসি সাহেব বলেন জিডি করতে হবে না। আপনার ছেলে বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০২২ খ্রি. একটি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলায় ডিএমপির কাউন্টার টেরিরিজম পুলিশ আটক করেছে। এ কথা শুনার পর তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না তার ছেলে সন্ত্রাসীমূলক কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে । যদি এ ধরণের কোন কাজ করে থাকলে আমি (জাকির হোসেন) আগে থেকে বুঝতে পারতাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সমর আলী জানান, মুনিরুল ফেনীর একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। এরপর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি মাদরাাসা থেকে মুফতি পাস করে। পরে টঙ্গী এলাকার এক মাদরাসায় বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।
রাজধানীতে ‘অধিকার’ নামের অনলাইন পোর্টালে বছর খানেক চাকরি করেছেন মুনিরুল। চাকরি ছেড়ে গত এক বছর যাবত গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আমরা তাকে একজন ভালো ছেলে বলেই জানি । ঢাকা থাকাকালীন সময়ে কিছু করেছে কিনা সেটা আমাদের জানা নেই। অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে কী অপরাধ করেছেন ? সেটা পরিবারকে জানানো দরকার। তাঁকে কোথায় নেওয়া হয়েছে, জানতে না পেরে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন স্বজন।