
কলমাকান্দায় সেই সাবেক ইউপি সদস্যের হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পোগলার ইউপির সেই সাবেক সদস্য মতিউর রহমান মতির (৬০) হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ । ওই ইউপির দুই বারের ওয়ার্ড সদস্য তিনি। নিহত মতিউর রহমান মতির পাঁচ স্ত্রী এবং ১১ জন ছেলে ও সাত মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, চোরাই গরু বিক্রয়ের টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই মতিউর রহমান মতি মেম্বারকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফসলি কাঁদা জমিতে ফেলে রাখে ১৬৪ ধারায় এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেত্রকোনার জেলা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রিমি সাহার নিকট দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত সাজু খান।
এর আগে মামলা দায়ের পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা ও ঘটনার পারিপাশ্বিকতায় সুত্র ধরে ঘটনার পরের দিন মামলা দায়ের পর গত বুধবার রাতেই উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের মূল পোগলা গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে সাজু খান (৩৫) ও তার সহযোগী একই গ্রামের আলী উছমানের ছেলে মো. আপেল (২১) নামে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটকৃতদের নেত্রকোনা জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃতদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুনেব খান সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, মতিউর রহমান মতির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাজু খান বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । তার সাথে আপেলসহ আরো কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা জানান। গুরুত্ব সহকারে মামলা তদন্ত চলছে। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী তার সহযোগী মো. আপেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার ভোরে মতিউর রহমান মতির মোবাইল ফোনে কল আসে। পরে দুইজন লোক এসে মোটরসাইকেল করে বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে যায়। সকালে তার ছেলে বাবুল মিয়া তাকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে খবর পেয়ে রামনাথপুর এলাকার একটি পতিত জমিতে তার বাবার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনায় পরের দিন গত বুধবার সকালে নিহতের প্রথম স্ত্রী আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
আরও পড়ুন: ভোট নিয়ে যেন কোনো সংঘাত না হয়:নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী