
কুলাউড়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা ওয়াসকরনী গ্রেফতার
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার শরীফপুর থেকে চাঞ্চল্যকর আসামী ও মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা ওয়াসকরনীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯, সিলেট।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-২, শ্রীমঙ্গল এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬:১৫ ঘটিকায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন শরীফপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার মামলা নং-২৭/২৩৭, তারিখ- ২৮/১১/২০২৪ ইং, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ ২০১২ এর ৮/১০ এর ০১ নং চাঞ্চল্যকর অপরাধী দীর্ঘদিনের পলাতক আসামী ও মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ওয়াসকরনী (৩৮), পিতা- মৃত পীর মাহমুদ আলী, সাং- লালারচক, থানা- কুলাউড়া, জেলা- মৌলভীবাজার। তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ ২০১২; বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪; মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৮; বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ১৯৭৩; এ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, মানব পাচারকারী চক্রের অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন, র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
র্যাব-৯/সিপিসি-২/শ্রীমঙ্গল