রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও ১লা বৈশাখ

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৬ মে ২০২৩

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও ১লা বৈশাখ

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও ১লা বৈশাখ

ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখী ঝড়, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতা নতুন স্বপ্ন, উদ্যম ও প্রত্যাশার আলো ছড়িয়ে আবহমান কাল ধরে নতুন আঙ্গিক রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্যে নিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে বারবার ঘুরে আসে পহেলা বৈশাখ। অনন্তকাল ধরে গড়ে ওঠা আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সৃজনশীলতা অহংকার মিশে থাকে নতুন বছরের শুভাগমন, আমাদের হৃদয়ে উদ্ভাসিত হয় দেশ মাতৃকার অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্য। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশালত্ব শাশ্বত প্রাচীনতা পবিত্র এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। তাই পহেলা বৈশাখের এই দিনে উদ্দীপ্ত প্রেরণায় জেগে ওঠে জাতীর আত্মপরিচয়।


পহেলা বৈশাখ নববর্ষের হিরন্ময় অতীত বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ের মাধ্যমে নতুন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পহেলা বৈশাখ নববর্ষের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি বাঙালি জাতির অন্যতম অনুষঙ্গ। বাংলার নববর্ষ কি বাঙালি মাত্রই আমাদের কে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে, কোন প্রেক্ষাপটে এই উৎসব মুখর দিবস সৃষ্টি হয়েছিল।

এসম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে সারে চারশত বছর পিছনে ফিরে যেতে হবে, মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলের দিকে। বাঙালির মুসলিম শাসনের রাজ কার্য্য পরিচালনা হতো হিজরি সন তারিখ অনুযায়ী। এসময়ে ভারত বর্ষে শকাব্দ, গুপ্তাদ্ব, জালালীভারত, লক্ষণ, বিক্রম ইত্যাদি নানা নামে সন তারিখ প্রচলিত ছিল। এসব সনের ভিত্তিতেই ভারতীয় প্রজা সাধারণত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ফলে কর খাজনা আদায়ে দেখা দিত নানাবিধ জটিলতা। এসব বিবেচনা করে মোঘল সম্রাট আকবর তার সভাসদেরকে একটি নতুন সন উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে তার সিংহাসন আরোহনের ২৯বছর পর তার অন্যতম সভাসদ পন্ডিত আমির ফতেউল্লা সিরাজি হিজরী ৯৯২, ইংরেজি ১৫৮৫ সালে বহু গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হিজরী সনের চন্দ্র মাস হিসাবের স্থলে সৌর হিসাবকে ভিত্তি করে নতুন তারিখ ই ইলাহী ফসলী সনের উদ্ভাবন করেন, যা বর্তমানে বাংলা সন হিসাবে পরিচিত।


কর খাজনা আদায়ের জন্য সেদিন মোঢ়ল সম্রাট আকবর যে বাংলা সনের উদ্ভাবন করেছিলেন তার পেছনে রয়েছে আকবরের বাংলা বিষয়ের ঘটনা। ১৫৭৫ সনে রাজমহলের যুদ্ধে বাংলার পাঠান সুলতান দাউদ খান কররানী ও তার ভাই তাজ খান কররানী কে পরাজিত করে, বাংলা বিজয় করেন। বাঙ্গালা বিজয়ের পর অর্থ মন্ত্রী রাজা টোডরমলকে বাংলার সুবেদার করে পাঠানো হয়। বাংলায় এসে রাজা টোডরমল খাজনা আদায়ে ভীষন জটিলতায় তাকে পড়েতে হযয়েছে। বাংলার মানুষ ফসলের সাথে খাজনার সম্পর্ক থাকায় ফসল উৎপাদনের মাস চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের প্রথম দিকে বাংলার মানুষের ঘরে ফসল ওঠে, তাই পহেলা বৈশাখ খাজনা উত্তোলনের দিন ধার্য্য করে। মোঘল ভূস্বামীরা প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করার সিদ্ধান্ত নেয়। পহেলা বৈশাখ বছরের প্রথম দিন বা নওরোজ হিসাবে ধরে নিয়ে খাজনা আদায় সহ নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে প্রজাদের কে খাজনা আদায় কারী ভূস্বামীরা মিষ্টিমুখ করাতেন এবং মেলা সহ অনান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সেই থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষের দিনে ব্যাবসা বাণিজ্য তথা সরকারি কর খাজনা আদায় হয়ে আসছে।


উপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের হাত থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগুষ্ঠিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ করে বাঙালি জাতীয় তাদের আন্দোলন কে শানিত করার লক্ষে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ ও সভ্যতা বিকাশ ঘটিয়ে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটানোই ছিল এর উদ্দেশ্য।

এর পিছনে মূল কারণ ছিল ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তি ধর্মীয় আবরণে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি বাঙালি অধূষিত পূর্ব বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তান বানিয়ে বৃটিশ দের মতোই স্বায়ত্বশাসন বিহীন প্রদেশের মর্যাদা দিয়ে শাসন ও শোষণ করতে শুরু করে। বাঙালির ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃতি পাকিস্তানীরা ধব্বংস করতে চেয়েছিল, যাতে করে বাঙালির মেধা ও মননশীলতা ধংস হয়ে যায়, সেই সাথে বুদ্ধি বৃত্তি ও সচেতনতা বিকাশ না ঘটে।

পরবর্তীতে ৫২এর ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে মর্যাদা লাভ করে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা। এই ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই পাকিস্তানীদের সাথে বাঙালিদের সংঘাত ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী, মৌলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগের ফ্যাসিষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে। এখানে উল্লেখ্য যে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় বাঙালিদের অবদান ছিল সব চেয়ে বেশী, পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষীরা ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অথচ অবাঙালি পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রে বাঙালির দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়। বাঙালির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রথমেই আঘাত হানে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির উপর। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সুদৃঢ় আত্মপ্রত্যয় সঞ্চার করে, রাজনৈতিক আন্দোলনের যে গতি সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৪য়ের নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটিয়ে হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পূর্ব বাংলায় সরকার গঠন করেছিল।


পরবর্তীতে পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসক ও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে প্রাদেশিক সরকার থাকতে পারেনি। এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলেই পূর্ব বাংলার তথা বাংলাদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী আপন স্বতন্ত্র, কৃষ্টি, ঐতিহ্যে, ভাষা, সংস্কৃতি ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাঙালির নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংষ্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের সুদূর প্রসারী চিন্তা চেতনা ভিত্তিতেই ১৯৫৬ সালে সাহসিকা জননী কবি বেগম সুফিয়া কামালের ঢাকার তারাবাগের বাসায় রুকুনুজ্জামান দাদাভাইয়ের পরিচালনায় কচিকাঁচা মেলা নামে একটি শিশু কিশোর সংগঠনের জন্ম নেয়। এর স্বপ্নদ্রষ্টা সেদিন সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি।

ষাটের দশকে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে যে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কচিকাঁচা মেলা দেশীয় সংষ্কৃতি চর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালায়। কচিকাঁচা মেলা সাধারণত দেশীয় সংষ্কৃতি ও খেলাধূলার প্রধান্য ছিল বেশি। হা ডু ডু, দাড়িয়াবান্দা, বৌচি, কুস্তি খেলা, ব্রতচারী, লাঠিখেলা বিশেষ করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খেলাধূলার প্রচলন ছিল।

পাশাপাশি দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাটক, আবৃত্তি সহ জারি, সারি, বাউল, ভাটিয়ালি গানের মুর্ছনা ছিল মেলার ভাইবোনদের প্রানের স্পন্দন, আর এই স্পন্দনেই এ অঞ্চলের মানুষ কে জাগরিত করেছে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।


উল্লেখিত অনুষ্ঠানাদি প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ সাত দিন অথবা পনর দিন ব্যাপী মেলার মাধ্যমে উদযাপন করা হতো। রাজনৈতিক সংষ্কৃতিক ব্যাক্তি বর্গের ছত্রছায়ায় সারা দেশ জুড়েও এধরনের অনুষ্ঠানাদির মাধ্যম বাংলা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ পাকিস্তানের বাঙালি অধ্যূষিত পূর্ব বাংলার (বাংলাদেশ)কে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ ৬ দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠা ৬৯ এর ছাত্র গণ আন্দোলন গণ অভ্যুথান সৃষ্টি করে স্বৈরশাসক আইয়ূব খানের পতন ঘটিয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্রমুলক রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা থেকে শেখ মুজিবকে মুক্ত করে, সেই সাথে সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে স্বৈরাচার সরকারকে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশ সহ সারা পাকিস্তানে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে, পাকিস্তানের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। ইয়াহিয়া খান জনগণের আন্দোলন প্রসমিত করতে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, পাকিস্তানের কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বাঙালিরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাবে এবং সরকার গঠন করবে এটা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছেনা, উল্টো বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু ডাক দিলেন স্বাধীনতার। পরবর্তীতে নয় মাস রক্তক্ষয়ী সহস্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সোনালী সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনে।

লেখক: সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা।

আরও পড়ুন: বীরঙ্গনা সখিনা স্মৃতি পরিষদের  অষ্টমী মেলা অনুষ্ঠিত

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ:

ঈদ ও নববর্ষে পদ্মা সেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী
কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের চাকা ফেটে তিনজনের মৃত্যু
র‌্যাব-১৪’র অভিযানে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত প্রকৃতি কন্যা জাফলং ও নীল নদ লালাখাল
কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘জালাল মেলা’ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী চড়কসহ গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত
কেন্দুয়ায় আউশ ধানের বীজ বিতরণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
কলমাকান্দায় দেশীয় অস্ত্রসহ পিতাপুত্র আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামগঞ্জে জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে গোবরের তৈরি করা লাকড়ি গৃহবধূরা
ফুলবাড়ীতে এসিল্যান্ডের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন চাঁদা দাবি: থানায় জিডি দায়ের
ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা
ধর্মপাশায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলো এক শিক্ষক
সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ায় রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন
মসিকে ১০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ উদ্বোধন করলেন মেয়র
কলমাকান্দায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক যতীন সরকারের জন্মদিন উদযাপন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের ৮৮তম জন্মদিন আজ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এমএলএম mtfe বন্ধ
কলমাকান্দায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লো তিন মাদক কারবারি
আটপাড়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে নেশাগ্রস্থ কিশোরের আত্মহত্যা
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস
কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে ২১ দোকানঘর ছাই

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 809