
জামিনে মুক্তি লাভের পর আতঙ্কে সাংবাদিক রানা
দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানার জামিনে মুক্তি লাভের পর আতঙ্কে রয়েছন। তিনি প্রয়োজন ব্যতিরেকে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। তার অভিযোগ টাকার বিনিময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ নিয়ে কিছু লোক নানা অপপ্রচার করছে।
সাংবাদিক রানা বলেন, আমি নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসের নানা অনিয়মের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার জন্য তথ্য চাইলে তারা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন। একাধিক বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য পায়নি। ডিসি সাহেবের পরামর্শে ঘটনার দিন ৫ মার্চ তথ্য অধিকার আইনে একটি আবেদন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে গেলে,তারা আবেদনের রিসিভ কপি দেয়নি। আবেদনের রিসিভ কপি চাইতে গেলেই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইউএনও। আমাকে ও আমার ছেলেকে চোর বলে অভিহিত করেন। আমি সিসি ক্যামেররা সামনে ছিলাম। সিসি ক্যামেরা দেখলেই এর প্রমান পাওয়া যাবে।
আমাদের শেরপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয় সেদিন ঢাকায় ছিলেন। তিনি না থাকাতে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুক্তাদিরুল সাহেবের সাথে পরামর্শক্রমে ইউএনও ও এসিল্যান্ড সাহেব আমাকে সাজা প্রদান করেন। আমি কোনরুপ দোষ স্বীকার করিনাই। আমার ওপর বেআইনী ও অন্যায় করা হয়েছে। এদিকে আজ নকলা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে তথ্য চাইতে গেলেও তারা কোন তথ্য দেননি।
উল্লেখ্য ৫ মার্চ শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা আবেদন করেন। তিনি ওই আবেদনের রিসিভ কপি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ওই ইউএনও। এ সময় তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিক রানাকে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস জেবুন নাহার সাংবাদিক রানার জামিনের আদেশ দেন। পরে রাতেই রানা শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
মোহাম্মদ দুদু মল্লিক