কলমাকান্দায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আজ শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে নেত্রকোনা জেলা আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ। পরে ওই দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শুকুর আলীকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম)।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম এর দিক নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার লঞ্চঘাট এলাকায় থেকে এএসআই মামুন ইবনে হেলাল সঙ্গীয় পুলিশ দল তাকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত শুকুর আলী কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ব্যস্তপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে । তিনি এ মামলায় ৫ বছর জেলহাজত ভোগ করার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন।
নিহত চালক মো. আল আমিন (১৭) কলমাকান্দা উপজেলার একই ইউনিয়নের রংছাতি গ্রামে খোকা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩০ ডিসেম্বর কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাও বাজার থেকে সন্ধ্যায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মো. আল আমিনকে নিয়ে শুকুর আলী নামক ব্যক্তি কলমাকান্দা উদ্দেশ্য রওনা হয়। পথিমধ্যে নল্লাপাড়া নামক এলাকায় তাকে মেরে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা খোকা মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (০১.০১.২০১৪ ইং)। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে শুক্কুর আলী (৩৮), নাজিম মিয়া (৪৫), ও মো. মোজাম্মেল হক (৪২) তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ ।
চলতি বছর ২০২৩ সালের ৫ ই এপ্রিল আদালতের বিচারক উপযুক্ত প্রমাণাদি শেষে অভিযুক্তের মধ্যে শুক্কুর আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিতকরণ রায় ও নাজিম মিয়া (৪৫) ও মো. মোজাম্মেল হক (৪২) নামের দুইজনকে বেখসুর খালাস রায় প্রদান করেন । রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুক্কুর আলী পলাতক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শুক্কুর আলী দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ বিচারক জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে পর্যটকদের জন্য চালু হতে যাচ্ছে বিশেষ বাস