
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ
এ নিয়ে আজ রোববার (১১ জুন) বিকেলে ওই কলেজছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে প্রেমিক মাহবুব আলম ও ভাবি হেনা আক্তারের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযুক্ত মাহবুব আলম উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের আড়ালিয়া গৌরীপুর গ্রামের মৃত- আঃ হেলিমের ছেলে।
এর আগে গত শনিবার (১০ জুন) রাতে বিয়ের দাবিতে মাহবুবের কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর বাসায় গিয়ে অবস্থান করে ওই কলেজছাত্রী।
পুলিশ জানায়, আজ রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওইছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী বাদি হয়ে বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই ছাত্রী ও স্থানীয়রা বলেন , প্রায় ১৪ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) তে থাকতেন মাহবুব। পরে ছয় মাসের ছুটি নিয়ে ২০১৬ সালে দেশে আসেন । আমি তখন এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলাম। বাড়ী থেকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে দেখা হতো, কথা হতো মাহবুবুরের সাথে।
একপর্যায়ে মাহবুবের সঙ্গে তার গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয় যায় । তখন তাকে বলে এখন আমি ছুটি কাটিয়ে দুবাইতে চলে যাবো। তবে আমি আবার ছুটি নিয়ে দেশে আসবো তখন পরিবারের সম্মতিে সামজিক ভাবে বিয়ে করে তাকে মাহবুবু নিয়ে যাবে তার বাড়ীতে এ কথা দিয়ে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করেন মাহবুব। ছুটির শেষে আবার চলে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) তে সে । এরপর থেকে নিয়মিত মুঠোফোনে কথা হয় তাদের মধ্যে।
এরপর চলতি বছর ৫ জুন আবার ছুটি নিয়ে বাড়ীতে এসেছেন মাহবুব। গত শনিবার (১০ জুন) সকালে মাহবুব আলম মুঠোফোনে বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। ওইদিন সারাবেলা মাহবুব তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরাসহ কেনাকাটা করেন। ওইদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে মাহবুব।
পরে সন্ধ্যায় মাহবুব তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিছুসময় পর মাহবুবের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তার সন্দেহ হয়। পরে সে বাড়িতে না গিয়ে চলে যায় কলমাকান্দা সদরের চাঁনপুর এলাকায় মাহবুবের বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখেন মাহবুব বাসায় নেই। পরে মাহবুবের মা ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী হেনা আক্তার তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন, তাতে সে রাজি না হলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরের দিন সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হেনা আক্তার তাকে মারধর করেন। পরে হেনা ও মাহবুবের মাকে নিয়ে মূল গেইটে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত মাহবুব আলমসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কলমাকান্দা থানার ইনচার্জ (ভার:) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সায়েদুল ইসলাম বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী বাদি হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন