
কেন্দুয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় শাপলা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় কেন্দুয়া থানার পুলিশ শাপলা আক্তারের স্বামী মোখলাদ (৩৫),দেবর মোজাহিদ (২৫) আটক করেছে। শাপলা আক্তারের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
অপর দিকে শাপলা আক্তারের স্বামীর পরিবার বলছে আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে। ঘটনাটি কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর ভূঁইয়া পাড়া গ্রামে শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঘটেছে।
শাপলা আক্তার উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কীর্তনখোলা গ্রামের মতি মিয়ার কন্যা। শাপলা আক্তারের ভাই শফিকুল জানান, গত বছর উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা ভূঁইয়া পাড়া গ্রামে বিদেশ ফেরত মোখলাদ মিয়ার সাথে শাপলা আক্তারের বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পর তাদের দাম্পত্যজীবন ভালোই চলছিল। হঠাৎ শাপলার স্বামীর এক ভাগিনা শাপলা আক্তারের স্বর্ণালংকার চুরি করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই কথার কাটাকাটি হতো। হঠাৎ (২৮ জুলাই) শুক্রবার অনুমানিক সকাল ৬টার দিকে তার বোন জামাই মোখলাদ ফোন করে জানায় শাপলা আগুনে গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে যায় বোনের বাড়িতে।
শফিক আরো জানান, প্রথমে গিয়ে তার বোনকে দেখতে পায় খাটের উপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এসময় সে তার বোনকে দেখতে চাইলে স্বামীর বাড়ির লোকজন শাপলা আক্তারকে দেখতে দেয়নি।
পরে অনেক চেষ্টার পর বোনের লাশ দেখার সুযোগ পান তিনি। এর পর দেখেন তার বোনের মাথা ফাটা রক্তে সারাঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এতেই তার সন্দেহ হয় বোন শাপলা আক্তারকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। না হলে পুড়ে মারা মাথায় আঘাতের চিহ্ন সারা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে কেন?
এ বিষয়ে কেন্দুুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আলী হোসেন জানান, এঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত শাপলা আক্তারের স্বামী ও দেবরকে আটক করা হয়েছে। এবং গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় আজকের পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন