
ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি’র অভিযোগে দোকানপাট বন্ধ, প্রতিবাদ সভা
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলনের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কেন্দুয়া বাজারের সহস্রাধিক দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে সরকারি কাজে বাধা ও পৌর কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে।
দুপুরের পর কেন্দুয়া বাজারের বাহার সুপার মার্কেট এলাকায় প্রতিবাদ সভা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাজার কমিটির সভাপতি এনামুল হক ভূঞা। সঞ্চালনা করেন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ভূঞা। বক্তব্য দেন সামছু মহাজন, সৈয়দ আবু রাগেব সাজেদ প্রমুখ। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দোলনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তারা। তাঁর বিরুদ্ধে সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কেন্দুয়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী কেন্দুয়া পৌরসভার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত শাহীন খান এবং অপর মামলার বাদী ব্যবসায়ী অপূর্ব।
অভিযোগ রয়েছে, ২৯ আগস্ট রাতে রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেন এবং পরিদর্শক শাহীন খানকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা বলেন, রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এ ছাড়া পৌর কর্মচারী শাহীন খানকে লাঞ্ছিত করেন ও সরকারি কাজে বাধা দেন। তাঁর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন ব্যবসায়ী ও পৌর কর্মচারীরা।
কর্মসূচি পালনকালে শাহীন খান বলেন, ‘যতদিন দোলনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও দোলন গ্রেপ্তার না হবেন ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
তবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর চাচা কেন্দুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘দোলনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য না। দোলন একটি বিকাশের দোকানে ১ হাজার ৯০০ টাকা বিকাশ করতে গিয়েছিল। ওই ব্যবসায়ী ভুল নম্বরে টাকা পাঠালে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে দোলনের কথা-কাটাকাটি হয়। অন্য কোনো ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেনি দোলন। তা ছাড়া পৌর কর্মচারী শাহীন খানকেও মারধর করেনি। তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন পিপিএম জানান, দোলনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং সরকারি কাজে বাধা ও পৌর কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ