
দুর্গাপুরে জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ১একর ২০ শতাংশ জমির ফসলি ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার বাকলজোড়া ইউপির দক্ষিণ শ্রীরামখিলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিন খান পৈত্রিক সম্পত্তিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তার পুত্র মো. ফুরকান আহম্মেদ খান(২৮) বাদী হয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে দুর্গাপুর থানায় ১৩জন কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযুক্তরা ওই ইউনিয়নের শালুয়াকান্দা গ্রামের মো. রমজান আলী(৪৮), রতন মিয়া(৩৫)এমদাদুল হক (৪০),রিপনমিয়া(৪২),ফয়সালমিয়া(১৮),বাপ্পী(১৮)ওয়াসিম(৪৩)জসিম(৩৫),তরিকুল ইসলাম(৩০),জাহাঙ্গীর মিয়া(৩০)আলমগীর মিয়া(২৫),ফজলু মিয়া(৬৫), মোফাজ্জল খান(২৮) সহ আরো অজ্ঞাত ৮/১০জন।
অভিযোগের বিবরণ ও সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোসলেম উদ্দিনের সাথে প্রতিবেশী ফজলু মিয়া ও মোফাজ্জল খানের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। চাচাতো ভাইয়ের ভাতিজা এমদাদুল হক শালুয়াকান্দা গ্রামের সুন্দর আলীর মেয়ে বিয়ে করেন। ওই সুবাধে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এমদাদুলের শ^শুর বাড়ীর লোকজন গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ১একর ২০শতাংশ ভুমির ফসলি ধান হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যায়।
ধান কেটে নেয়ার দুইদিন পূর্বে মোসলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই আব্দুল হান্নান খান ধান কাটার জন্য ওই জমিতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয় লাঠি-সোটা দিয়ে
এলাপাতারি মারধর করে। উপজেলা হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসা নেন তারা। গত ৯ নভেম্বর ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে অভিযোগের বাদী ফুরকান উদ্দিন খানকে দায়ের কুপে পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলে ফজলু মিয়া ও মোফাজ্জল খান।
এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় মোকাদ্দমা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১১। তবে প্রধান অভিযুক্ত মো. রমজান আলী(শালুয়াকান্দা-শ্রীরামখিলা) ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার (ওসি)তদন্ত নুরুল ইসলাম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসআই হান্নান অভিযোগ তদন্ত করছেন। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০জন আহত